দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ইউক্রেনের এক সেনার মাথা কেটে নেওয়ার ভিডিও সামনে এসেছে। রাশিয়া বলেছে, ভিডিও ঠিক কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এক মিনিট ৪০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, রাশিয়ার সেনা ইউক্রেনের এক সেনাকে ধরে তার মাথা কেটে নিচ্ছে।
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিওটি সামনে আসার পর রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে দেখছেন। এরপরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্তকারী সংস্থা ভিডিওটি যাচাই করে দেখবে। তারা তাদের মত জানানোর পর প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস তাদের রায় দেবে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘ভিডিওটি ভয়ংকর। তবে আগে তা যাচাই করে দেখতে হবে।’
বলা হচ্ছে, ভারাটে রুশ বাহিনী ওয়াগনারের কমান্ডার আন্দ্রে মেদভেদেভ ভিডিওটি দেখেছেন। যে মাথা কাটছে তাকে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ওই সেনা তার সাবেক সহকর্মী।
রাশিয়ার মানবাধিকার সংগঠন গুলাগু ডট নেট-এর প্রতিষ্ঠাতা ভ্লাদিমিক ওসেছকিন বলেছেন, ‘আন্দ্রে মেদভেদেভ বারবার ভিডিওটি দেখেছেন। এরপরেই তিনি স্পষ্টভাবে তার সাবেক সহকর্মীকে চিহ্নিত করেছেন।’ আন্দ্রে মেদভেদেভ এখন সুইডেনের জেলে বন্দি। তবে ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগঝিন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পুরোপুরি মিথ্যা কথা। এর সঙ্গে বাস্তবের কোনো যোগ নেই।’ জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনের মুখপাত্র বলেছেন, ‘এটাই একমাত্র এ রকম ঘটনা নয়।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, ‘এই ফুটেজ থেকে বোঝা যাচ্ছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের চেহারা কতটা অমানবিক।’ ফ্রান্স বলেছে, ‘এই ঘটনা বর্বরোচিত।’ চেক প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘যদি ভিডিও সত্য হয়, তাহলে রাশিয়ার সেনা নিজেদের আইএস জঙ্গিদের স্তরে নামিয়ে এনেছে।’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বুধবার তার ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা কিছুই ভুলছি না। আমরা এই হত্যাকারীদের ক্ষমা করব না।’