দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক বলে জানা গিয়েছিল। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। সেনা শাসনের বিরোধীদের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া এসব মানুষের ওপর মঙ্গলবার বোমা হামলা চালায় সামরিক বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় গণতন্ত্রপন্থি গোষ্ঠীর সদস্য এবং মিয়ানমারের স্বাধীন মিডিয়ার বরাত দিয়ে বুধবার (১২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের কানবালু শহরের পাজিগি গ্রামের বাইরে দেশটির বিরোধী গোষ্ঠীর একটি স্থানীয় কার্যালয় খোলার জন্য মঙ্গলবার সকাল ৮টায় বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। উপস্থিত সেই মানুষের ভিড়েই সরাসরি বিমান হামলা চালায় সেনাবাহিনী। হামলার শিকার এই অঞ্চলটি মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের প্রায় ১১০ কিলোমিটার (৭০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত।
ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরও বলেন, হামলার প্রায় আধা ঘণ্টা পরে একটি হেলিকপ্টার সেখানে উপস্থিত হয় এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতার গুলিবর্ষণ করে। এপি বলছে, হামলার পর প্রাথমিক রিপোর্টে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫৩ বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পরে দেশটির স্বাধীন মিডিয়ার রিপোর্টে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১০০ জনে উন্নীত হয়েছে বলে জানানো হয়।
এপি বলছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য ঘটনাস্থলে প্রায় ১৫০ জন লোক জড়ো হয়েছিলেন এবং নিহতদের মধ্যে নারী ও ২০ থেকে ৩০ জন শিশুও রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, স্থানীয়ভাবে গঠিত সরকারবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং অন্যান্য বিরোধী সংগঠনের নেতারাও সেনাবাহিনীর এই বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্যরা এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে এবং সামরিক বাহিনীকে জবাবদিহি করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।