দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে তাণ্ডব চালাল ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনী। অধিকৃত জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। বুধবার ভোরের আগে সেখানে এই হামলার ঘটনা ঘটে।মাত্র কয়েক দিন আগেই মুসলিমদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে এক ফিলিস্তিনি যুবককে দিনদুপুরে গুলি করে হত্যা করেছিল ইসরায়েলি পুলিশ।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদ ও এর প্রাঙ্গণে ইবাদতরত কয়েক ডজন মুসল্লির ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। রাতের আঁধারে হওয়া এই হামলায় সাতজন আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ সময় গ্যাসবোমা, সাউন্ড গ্রেনেড এবং ফাঁকা গুলি ছোড়ে ইহুদি পুলিশ সদস্যরা। এতে মসজিদের ভেতর নারী-শিশুরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেওয়া হয় ইবাদতরত মুসল্লিদের।
অবশ্য বুধবার ভোরের আগে ইসরায়েলি পুলিশ দাবি করে, তারা আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ‘দাঙ্গার’ জবাব দিচ্ছে এবং এ কারণে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এই ঘটনা ফিলিস্তিনসহ বিশ্ব মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। মসজিদের বাইরে থাকা এক বয়স্ক মহিলা কাঁদতে কাঁদতে রয়টার্সকে বলেন, আমি একটি চেয়ারে বসে (কোরআন) তিলাওয়াত করছিলাম। আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তারা স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে, একটি আমার বুকে আঘাত করেছে।
ইসরায়েলি পুলিশ এক বিবৃতিতে দাবি করেছে যে মুখোশধারীরা আতশবাজি, লাঠি এবং পাথর ছুড়েছিল। তারা মসজিদের ভেতর থাকায় সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী ঢুকতে বাধ্য হয়েছে। তারা আরো বলেন, পুলিশ প্রবেশ করলে তাদের দিকে পাথর নিক্ষেপ করা হয় এবং আন্দোলনকারীদের একটি বড় দল মসজিদের ভেতর থেকে আতশবাজি ছোড়ে। এতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তাদের দমাতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।