দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে পৌঁছেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (৩ এপ্রিল) ব্যক্তিগত বিমানে করে সেখানে পৌঁছেন তিনি। এরপর নিউ ইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে যান এবং এখন সেখানেই অবস্থান করছেন।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) আদালতে ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার আগে তিনি ট্রাম্প টাওয়ারেই রাত কাটাবেন। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক পর্ন তারকার মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার পর আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নিউ ইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে পৌঁছেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আদালতে ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার আগে সেখানেই তিনি রাত কাটাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মামলার শুনানি হবে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরে। তবে অভিযোগের বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন, এবারও সে রকম পরিস্থিতির আশঙ্কা পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়নি নিউ ইয়র্ক পুলিশ। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইতিমধ্যে ট্রাম্প টাওয়ার, ম্যানহাটানের আদালত ও আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা অনেক জোরদার করা হয়েছে। দুটি ভবনের চারপাশেই ব্যারিকেড দিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
তবে নিউ ইয়র্ক পুলিশ এখনো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতির আশঙ্কা খুব বেশি দেখছে না। এক বিবৃতিতে তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শহরের ওপর এখনো বড় ধরনের কোনো হমকির ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেন জয়ী হলেও, রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, প্রকৃতপক্ষে তিনিই জিতেছেন, কিন্তু তার বিজয়কে কারচুপির মাধ্যমে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে সমর্থকদের রাস্তায় নামার আহ্বানও জানিয়েছিলেন তিনি। তার পরই ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে রিপাবলিকানদের সেই হামলা সংঘটিত হয়।
সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা গোপন রাখতে ট্রাম্প মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন—এ অভিযোগের মামলার রায় ঘোষণার আগে থেকেই নিউ ইয়র্কে নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করে রায় ঘোষণার দিন নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ হলেও বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ম্যানহাটান আদালতের রায়কে ইতিমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মনে করেন, মামলাটি পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাকে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাইরে রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবেই মামলাটি সাজিয়ে এমন রায় দেওয়া হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।