দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি ও আলাবামা অঙ্গরাজ্যে প্রলয়ংকরী টর্নেডোতে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত এবং একটি শহর প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবার পর রাজ্যটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
দুটি রাজ্যের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া অত্যন্ত শক্তিশালী ওই ঘুর্ণিঝড় বিস্তীর্ণ এলাকায় ধ্বংসলীলার চিহ্ন রেখে গেছে। বাড়িঘর ভেঙে পড়ার ফলে শত শত মানুষ গৃহহীন হয়েছে। রোলিং ফর্ক নামে দুই হাজার বাসিন্দার একটি শহর প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, টর্নেডোটি ছিল মাত্র মিনিট দশেক স্থায়ী এবং তা আঘাত হানে মাঝরাতে। তাই অধিকাংশ মানুষই আত্মরক্ষার কোনো সুযোগই পাননি।
টর্নেডোতে রোলিং ফর্ক নামে দুই হাজার বাসিন্দার একটি শহর প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ছবি : রয়টার্স
শহরের একজন বাসিন্দা ফ্রান্সিসকো ম্যাকনাইট বলেন, তিনি যে বেঁচে আছেন এটাই তার কাছে এক অলৌকিক ব্যাপার বলে মনে হচ্ছে। শহরটির এক-পঞ্চমাংশ মানুষই দরিদ্রসীমার নিচে বাস করেন এবং সেখানকার পথে পথে এখন চূর্ণবিচূর্ণ উল্টে যাওয়া গাড়ি, ইট আর ভাঙা কাচ পড়ে আছে। ঝড়ের সময় কেউ কেউ তাদের বাথটাবের ভেতর আশ্রয় নিয়ে প্রাণ বাঁচান।
দুই অঙ্গরাজ্যেই উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রবিবার মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে ‘গুরুতর জরুরি দুর্যোগ’ ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ফেডারেল সহায়তা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণার ফলে চারটি কাউন্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সাময়িক আবাসন, উদ্ধারকাজ এবং বীমাবিহীন সম্পদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য সহজ-শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে ফেডারেল তহবিলের অর্থ ছাড় করা সম্ভব হবে।