দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের মতো আরও অন্তত ২০০টি ব্যাংক পতনের ঝুঁকির মুখে রয়েছে। বাইডেন প্রশাসন সম্প্রতি অস্থিতিশীল বাজার শান্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ নিলেও পতনের শঙ্কা কাটিতে উঠতে পারেনি এসব ব্যাংক। নতুন এক গবেষণায় উঠে এসছে এমন তথ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের চারজন বিশেষজ্ঞের গবেষণা রিপোর্টের (এসআইভিবি) বরাত দিয়ে দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট ও আরটি শনিবার জানিয়েছে, প্রায় ২০০টি মার্কিন ব্যাংক সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের ভাগ্যবরণ করতে পারে। ১৮৬টি ব্যাংক তাদের তহবিল তুলে নিলে ব্যর্থ হতে পারে। শেয়ার বাজারে ধস ও সুদের হার দ্রুত বৃদ্ধির কারণে মার্কিন ব্যাংকগুলো অবাস্তব লোকসানের মুখে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ দিনে ২ ব্যাংক বন্ধ :
মার্কিন অর্থনীতিবিদের এই গবেষণা প্রতিবেদনটি সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ নেটওয়ার্কে গত সপ্তাহে প্রকাশ হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৭ মার্চ থেকে ২০২৩ সালের ৬ মার্চ পর্যন্ত মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক শতকরা ৪ দশমিক ৫৭ ভাগ সুদের হার বাড়িয়েছে যার কারণে এই সময়ে ব্যাংকগুলোর গচ্ছিত সম্পদের মূল্য উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে গেছে। ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়িয়ে উচ্চহার সুদে ঋণ দিয়ে নিজেরা লাভবান হয়েছে, অন্যদিকে অনেক ব্যাংক তাদের অতিরিক্ত নগদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মার্কিন ট্রেজারিতে রেখে দিয়েছে। কিন্তু সুদের হার বাড়ানোর কারণে এইসব গচ্ছিত বন্ডের মূল্য এখন মারাত্মকভাবে কমে গেছে।
এর আগে গত সপ্তাহে তিন দিনের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের দুই ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। গত ১০ মার্চ সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল প্রটেকশন অ্যান্ড ইনোভেশন। এরপর ব্যাংকের সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নেয় ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন (এফডিআইসি)।
অন্যদিকে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধের তিনদিনের মাথায় ১২ মার্চ নিউইয়র্কের সিগনেচার ব্যাংক বন্ধের ঘোষণা দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বলা হচ্ছে, এটি ২০০৮ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং খাতের সবথেকে বড় পতন। সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলছেন, আগামীতে দেশটির শতাধিক ব্যাংক একই ঝুঁকিতে পড়তে পারে।