দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ফের গুরুতর অসুস্থ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। শুক্রবার দুপুরে তাকে দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বুকে সংক্রমণ ছাড়াও জ্বরে ভুগছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা শুরু হয়েছে সোনিয়ার। আপাতত তার অবস্থা স্থিতিশীল।
হাসপাতালের চেস্ট ফিজিশিয়ান ডা. অরূপ বসুর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে সোনিয়া গান্ধীর। তার ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে গণমাধ্যমে জানা গেছে। যদিও হাসপাতালের পক্ষ থেকে সে খবর এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। এই নিয়ে চলতি বছর দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হলেন সোনিয়া।
কিছুদিন আগে ভারত জোড়া যাত্রা চলাকালীনই সোনিয়া গান্ধীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। সে সময়ও তাকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। যদিও সেটি নিতান্তই রুটিন চেক আপ বলে জানিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে কংগ্রেস নেত্রীর বয়সের কথা মাথায় রেখে বিশেষ নজর দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। গত বছরই দুই মাসের ব্যবধানে দুই বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এ বার তার বুকে সংক্রমণ এবং জ্বর উদ্বেগে রেখেছে চিকিৎসকদের। তাকে কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে, তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো তথ্য জানা যায়নি।
মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ফের হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা নিয়ে চিন্তায় রাহুল-প্রিয়াঙ্কারাও। গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরুর সময় চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে ছিলেন সোনিয়া। ২৯ দিনের মাথায় বিজেপি শাসিক ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। মায়ের জুতোর ফিতে বেঁধে দিচ্ছেন ছেলে! কর্নাটকের মান্ড্যায় কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচির মাঝে এমন ছবিও দেখা গিয়েছিল।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের ৮৫তম প্লেনারি অধিবেশন চলাকালীনই জল্পনা রটে যায়, এবার রাজনীতি ছাড়তে চলেছেন ইইপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। দলীয় সমাবেশে ভাষণের পর তার মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় জল্পনা। প্লেনারিতে তিনি বলেছিলেন, ‘ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমেই আমার যাত্রা শেষ হতে পারে। এই যাত্রা শেষই আমাকে সবচেয়ে বেশি তৃপ্ত করবে।’ যদিও পরে দলের পক্ষ থেকে জয়রাম রমেশ জানান, এখন কোনোভাবেই অবসর গ্রহণ করছেন না সোনিয়া গান্ধী। আগামী বছরের লোকসভা ভোটে সম্ভবত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না সোনিয়া গান্ধী। যদিও এই নিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।