দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ভারত-চীন সম্পর্ক এখনো স্বাভাবিক নয়। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংকে স্পষ্ট ভাষায় এ কথা জানিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার ২০২০ সালের জুনের রক্তাক্ত স্মৃতি এখনো ফিকে হয়নি। প্যাংগং হ্রদের উত্তর প্রান্ত, দেপসাং উপত্যকাসহ কয়েকটি এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে আসা চীনা সেনা এখনো ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তা নিয়ে দফায় দফায় চলছে দুই দেশের সেনার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকও। তারই মধ্যে গত বছর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সীমান্তে টহলদার ভারতীয় সৈন্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে চীনা সেনাবাহিনী। টানাপড়েনের এই আবহে ভারত সফরে এসেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৯ সালের পর আবার কোনো চিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সফরে এলেন।
ভারত সফরের আগে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির পক্ষে কথা বলেছিলেন গ্যাং। ৪৫ মিনিটের পার্শ্ববৈঠকে সুসম্পর্ক স্থাপনের জন্য সীমান্তে চীনা সেনাবাহিনীর ‘তৎপরতা’ সংবরণকে জয়শঙ্কর অন্যতম ‘পূর্বশর্ত’ হিসেবে তুলে ধরেছেন বলে বিদেশ মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর জয়শঙ্কর বলেন, ‘চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই ছিল তার সঙ্গে আমার প্রথম বৈঠক। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতিই ছিল আজকের আলোচনায় বিষয়। বৈঠকে স্থির হয়েছে, আসল সমস্যাগুলো নিয়ে খোলাখুলিভাবে কোনো দ্বিধা ছাড়াই আলোচনা করতে হবে।’ খোলাখুলি আলোচনা না হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে স্বাভাবিকতা ফিরবে না জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমাদের আলোচনার মূল লক্ষ্য সীমান্তে শান্তি ফেরানো।’
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ‘সীমান্তের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলে ভারত-চীন সম্পর্কে স্থায়ী শান্তি আসবে না। আমরা আমাদের অবস্থানেই রয়েছি। চীন যদি সীমান্তে শান্তি বিঘ্নিত করে তবে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে। আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তা স্বাভাবিক হতেও পারে না।’