দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : মাওলানা আব্দুর রহীম খান শেরপুরী (র.) এর মতো গুণী আলেমদের কারণেই সমাজে শান্তি ছিলো। তারা সর্বদা মানুষের কল্যানে কাজ করেছেন, দেশ জাতির কল্যান চেয়েছেন। এই আলেমদের মধ্যে সিলেটের বরেণ্য আলেম মরহুম মাওলানা আব্দুর রহীম খান শেরপুরী র. ছিলেন অন্যতম। ঐতিহ্যবাহী ঢাকাদক্ষিণ মাদরাসার প্রতিষ্টাতা মুহতামিম হিসেবে তিনি এতদ্ব অঞ্চলে দ্বীন প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তার অবিস্মরণীয় ভূমিকা আজও অম্লান। কিন্ত আমরা বরেণ্য এসব আলেমদের দেখানো পথে হাটতে পারি না। তারা জীবনভর আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলের দেখানো পথে চলতে মানুষকে উৎসাহিত করেছেন। তাদের জীবন এবং কর্ম নিয়ে গবেষনা প্রয়োজন। এদের জীবন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। নতুন প্রজন্ম দিক নির্দেশনা পাবে। দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।
সিলেটের বরেণ্য আলেমে দ্বীন, উস্তাযুল আল্লাম ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম হুছাইনিয়া ঢাকাদক্ষিণ মাদরাসার প্রতিষ্টাতা মুহতামিম মাওলানা আব্দুর রহীম খানশেরপু রী র) এর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার ( ২৬ ফেব্রুয়ারী) বেলা ২ টায় দরগাহ গেইটস্থ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সভাকক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।
মরহুমের ছাত্র মাওলানা নজির আহমদ বরোকোটির সভাপতিত্বে অনুষ্টিত মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন মরহুমের ছাত্র প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন.জামেয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর মাদরাসার মহা পরিচালক মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দিন ।
এ মাহফিলে বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, ভার্থখলা জামেয়ার মুহতামিম হাফিজ মাওলানা মউজদুদ্দিন, ঢাকা বারিধারা মাদাসার শায়খূল হাদিস মাওলানা মকবুল হোসাইন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট এর উপ পরিচালক শাহ নজরুল ইসলাম , ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রাক্তণ অধ্যক্ষ আব্দুল মতলিব, মরহুমের সহকর্মী মাওলানা ফজলে হক বারোহালী, মাওলানা এজাজ আলী শমসের নগর বলরামপুর মাদরাসার শায়খূল হাদিস মাওলানা আব্দুল মালিক, ঢাকাদক্ষিন মাদরাসার শায়খূল হাদিস মাওলানা আহমদ আলী, ঢাকা দক্ষিণ দারুল উলুম হুছাইনিয়া মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম, মাওলানা জাকারিয়া, মাওলানা আব্দুল মতিন নাদিয়ার হুজুর, মাওলানা এনামুল হক,মাওলানা ইকবাল হোসাইন, বিএনপি নেতা আতাউর রহমান উতু মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা আবুল লেইছ, সাংবাদিক মো. ফয়ছল আলম, মাওলানা আজিজুর রহমান ও মাওলানা খালেদ সাইফ’ল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন হাফিজ মাওলানা শরীফ আহমদ ও ফয়ছল আহমদ। শুরুতে ক্বোরআন তেলাওয়াত করেন হাফজ খলিল আহমদ,আহমদ হাবিব উল্লাহ উসামা ও নাহিয়অন তাকি।