দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান লড়াইয়ে হত্যা এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের কারণে প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র এলিজাবেথ থ্রোসেল জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বুথিডাং এবং মংডু শহরে লড়াইয়ে কয়েক হাজার বেসামরিক লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নাফ নদীর তীরবর্তী একটি এলাকায় পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।’
নভেম্বরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা শুরু করার পর থেকে রাখাইনে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। আরাকান আর্মি জানিয়েছে, তারা রাজ্যের জাতিগত রাখাইন জনগোষ্ঠীর জন্য আরও স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করছে। ২০১৭ সালে রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন অভিযান নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। প্রাণে বাঁচতে ওই সময় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
রাখাইনে নতুন করে যুদ্ধ শুরুর উল্লেখ করে থ্রোসেল বলেন, ‘এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বেসামরিক মানুষ আরও একবার হত্যার শিকার,তাদের সম্পত্তি ধ্বংস ও লুটপাট করা হচ্ছে, তাদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার দাবি উপেক্ষা করা হচ্ছে। তারা আবার যন্ত্রণার পুনরাবৃত্তিমূলক দুঃস্বপ্নে তাদের বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।