দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : মোদি পদবি অবমাননা মামলায় রাহুলকে গত মার্চ মাসে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন আদালত। দুই বছরের কারাদণ্ডও দিয়েছিলেন সুরাত ম্য়াজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক। এর পরেই রাহুলের সংসদ সদস্য পদ খারিজ হয়ে যায়। ফলে আগামী লোকসভা নির্বাচনেও রাহুলের ভোটে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রেও তৈরি হয় অনিশ্চয়তা।অবশেষে শুক্রবার সেই শাস্তির নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সংসদ সদস্যের দুই বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হলে তৎক্ষণাৎ তাঁর সংসদ সদস্য পদ চলে যায়।
সোমবার লোকসভার স্পিকারের সচিবালয় থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত, তাই আপাতত তাঁর সংসদ সদস্য পদ খারিজের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হল। সুপ্রিম স্থগিতাদেশের পরই রাহুল গান্ধীকে সংসদ সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য লোকসভায় আর্জি পেশ করেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, ‘আমরা আশা করব স্পিকার যেমন দ্রুততার সঙ্গে রাহুলজির পদ খারিজ করেছিলেন, তেমনই সক্রিয়তা দেখা যাবে সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও।’
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্যের জন্য গত ২৩ মার্চ রাহুলকে দুই বছরের করাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গুজরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি সুরাট জেলা আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির অপরাধে মামলা করেন। সদস্যপদ বাতিলের পর, সাজা স্থগিত রাখার জন্য রাহুল সুরাটের দায়রা আদালত ও পরে গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন জানান। অবশেষে শুক্রবার সেই শাস্তির স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট এবং রাহুল গান্ধী ফিরে পান তাঁর সংসদ সদস্য পদ।