দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : আর মাত্র ৬ দিন পর রাজধানীর বুকে ছুটে চলবে বহুল কাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেল। আপাতত উত্তরা থেকে আগারগাঁও, যা প্রকল্পের প্রথম অংশ। দ্বিতীয় অংশ তথা আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চালুর পরিকল্পনা ২০২৩ সালের শেষ দিকে। আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সালে। তবে প্রথম অংশের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী ২৮ ডিসেম্বর। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন। একই সঙ্গে তিনি ভ্রমণ করবেন মেট্রোরেলে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন উপলক্ষে দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও স্টেশনে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এজন্য ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ি পর্যন্ত মেট্রোরেল সংলগ্ন এলাকার ভবনের বাসিন্দাদের জন্য সাতটি নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল হালিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় এসএসএফের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা এলাকাবাসীকে কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মেট্রোরেল সংলগ্ন এলাকায় নির্দেশনা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
নির্দেশনাগুলো হলো:
১. কোনো ভবন বা ফ্ল্যাটে আগামী ২৯ ডিসেম্বরের আগে নতুন ভাড়াটিয়া উঠতে পারবেন না।
২. কোনো ভবনের কমার্শিয়াল স্পেসে ২৮ ডিসেম্বর নতুন কোনো অফিস, দোকান, রেস্তোরাঁ খোলা যাবে না।
৩. ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল সংলগ্ন কোনো ভবনের বেলকনি ও ছাদে কাপড় শুকাতে দেওয়া যাবে না এবং কেউ দাঁড়াতে পারবেন না।
৪. ওইসব এলাকার ভবন, বিল্ডিং বা ফ্ল্যাটে ওইদিন কোনো ছবি বা ফেস্টুন লাগানো যাবে না।
৫. মেট্রোরেল সংলগ্ন কোনো ভবনের কমার্শিয়াল স্পেসে বা আবাসিক হোটেলে ২৮ ডিসেম্বর কেউ অবস্থান করতে পারবেন না।
৬. ওই এলাকার কোনো ভবন বা ফ্ল্যাটে যদি বৈধ অস্ত্র থাকে, তা ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে থানায় জমা দিতে হবে।
৭. মেট্রোরেলের দুই পাশের সব ব্যাংক বা এটিএম বুথ ২৮ ডিসেম্বর সকাল থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালীন পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধনের পর ২৯ ডিসেম্বর থেকে যাত্রীদের জন্য মেট্রোরেল উন্মুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।