1. bazmedialink7@gmail.com : Baz Alam : Baz Alam
  2. mdkaif01133@gmail.com : md :
  3. talhanrcc2014@gmail.com : Talha : MD TALHA
  4. deshbidesh2022@gmail.com : Tuhin Ahmed : Tuhin Ahmed
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে - DeshBideshNews
November 27, 2024, 2:44 pm
 

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে

  • Update Time : Thursday, August 1, 2024
  • 54 Time View
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে

দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : দেশের কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেওয়ায় জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে কারফিউ জারিসহ তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। ওই সময় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ সময় বৈধ পথে আসেনি প্রবাসী আয়। এর প্রভাবে কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত জুলাই মাসের রিজার্ভের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত এক মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার। ৩১ জুলাই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রোস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯২ কোটি মার্কিন ডলারে (২৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন)। আইএমএফ’র হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২ হাজার ৪৮ কোটি ৮২ লাখ ডলার (২০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন)।

গত জুনে মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৮১ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার (২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন) এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১৭৮ কোটি মার্কিন ডলার। সে হিসেবে মোট রিজার্ভ কমেছে ৮৯ কোটি ৩৮ লাখ ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী কমেছে ১৩০ কোটি ডলার।

তবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের বাইরে আরেকটি হিসাব আছে, যাকে বলা হয় নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর)। এ তথ্য প্রকাশ না করে শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। চলতি বছরের ৩০ জুন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার (১৬ বিলিয়ন ডলার)। তবে, জুলাই মাসে এনআইআর-এর তথ্য জানায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ব্যবহারযোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়েছে। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো কষ্টসাধ্য হবে। সাধারণত একটি দেশে ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।

রেমিট্যান্স কমে গেলে রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে রিজার্ভের চাপ কমাতে প্রবাসীদের উৎসাহ দিতে বেশি দামে রেমিট্যান্স আনতে প্রায় ২০টি ব্যাংককে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ‘ক্রলিং পেগ’ চালুর পর ব্যাংকগুলোতে ডলার রেট সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা হলেও রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মৌখিক নির্দেশের পর বেশ কয়েকটি ব্যাংক রেমিট্যান্স কেনার রেট ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৯ টাকা অফার করে। ফলে, খোলা বাজারেও ডলারের দামে প্রভাব পড়ে। বাড়তে শুরু করে খোলা বাজারে ডলারের দাম। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল ‘মানি চেঞ্জারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ থেকে বলা হয়, খোলা বাজারে প্রতি ডলারের মূল্য হবে সর্বোচ্চ ১১৯ টাকা। এর বেশি দামে বিক্রি করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, খোলা বাজারে আজও প্রতি ডলার ১২৫ টাকা বিক্রি হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ