দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সবার্গে বিষাক্ত গ্যাস লিক হয়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার জোহানেসবার্গের বোকসবার্গের একটি অনুমোদনহীন বসতিতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জরুরি পরিষেবার মুখপাত্র উইলিয়াম এন্টলাদি বলেছেন, অ্যাঞ্জেলো ক্যাম্পের একটি সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক হয়েছে। স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে গ্যাস বিস্ফোরণ হয় বলে ধারণা করা হয়। এর পরেই জরুরি পরিষেবাগুলোকে ডাকা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, গ্যাস বিস্ফোরণের কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পরে বের হয় এলাকায় ‘বিষাক্ত গ্যাস’ লিক হওয়ার কারণে এমনটা ঘটেছে। অবৈধ সোনার খনি শ্রমিকরা বিষাক্ত নাইট্রেট অক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করে থাকেন।
এটি স্থানীয়ভাবে ঝামা ঝামাস নামে পরিচিত। পরিত্যক্ত খনি থেকে মাটি চুরি করে এনে এই গ্যাসের মাধ্যমে মাটি থেকে সোনার ছোট ছোট দানা খুঁজে বের করা হয়। বিষাক্ত এই গ্যাসের একটি সিলিন্ডার বোকসবার্গের ঘনবসতিপূর্ণ অ্যাঙ্গেলো সান্টে শহরে পাওয়া যায়। যেখানে গ্যাস লিকের ঘটনা ঘটে সেই স্থানের ১০০ মিটারের মধ্যে নিহতদের পাওয়া যায়।
জরুরি পরিষেবা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তবে তাদের আশঙ্কা, ওই এলাকা থেকে আরো মৃতদেহ পাওয়া যেতে পারে। আহত বা নিহতদের খুঁজে বের করতে রাতের বেলায়ও উদ্ধার অভিযান চলছিল। উইলিয়াম এন্টলাদি প্রাথমিকভাবে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার গাউতেং প্রদেশের প্রিমিয়ার পানিয়াজা লেসুফি পরে মিডিয়াকে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা ১৬ জন। লেসুফি বলেন, এটি সুন্দর কোনো দৃশ্য নয়।
এটি বেদনাদায়ক এবং দুঃখজনক। লেসুফি আরো বলেন, মাটিতে মৃতদেহগুলো পড়ে ছিল এবং সেখানে এক বছরের শিশুও আছে। উইলিয়াম এন্টলাদি জানিয়েছেন, ‘আমরা সন্দেহ করছি এটি এলাকার অবৈধ খনির সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।’ ছয় মাস আগে জোহানেসবার্গেই একটি গ্যাস ট্যাংকার বিস্ফোরণ হয়ে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবারও গ্যাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু দেখল শহরটি।