দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক: অভিনেতা, নির্মাতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। অভিনয় দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও পরবর্তীতে পরিচালনা ও উপস্থাপনায় সরব হন। বিতর্কিত উপস্থাপন ও নানা ধরনের মন্তব্য করে প্রায়ই আলোচনায় থাকেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে নানাভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে। ইতিমধ্যে তাকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে, সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না এই অভিনেতার।
এ পরিস্থিতিতে ক্ষমা চেয়ে জয় বলেন, ‘আমার পরিবারের মানুষ চিন্তিত।’ তা ছাড়া নানা বিতর্কের কারণে শোবিজাঙ্গনেও কাজ হারাচ্ছেন তিনি। এমন এক অভিযোগ সামনে এনে জয় জানান, ‘ত্রিভুজ’ নামের একটি ওয়েব ফিল্মে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। গত ১০ অক্টোবর ফিল্মটি মুক্তিও পেয়েছে। অন্যতম প্রধান চরিত্রে কাজ করলেও প্রচারণায় রাখা হয়নি তাকে। কেন এমনটা ঘটছে সেই প্রশ্নও তুলেছেন এই অভিনেতা।
জয়ের অভিযোগ, এই ফিল্মে বাকি সবার মতো তিনিও একটি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার পরিচালক, প্রযোজক ও সহশিল্পীরা অভিনেতার অভিনয়ে সন্তুষ্ট হয়েছেন। তবে এর কোনো প্রমোশনে তার ছবি পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়নি এবং এই অভিনেতাকে ট্রেইলারেও ব্যবহার করা হয়নি।
জয়ের প্রশ্ন, আসলে তার অপরাধটা কী? এরপর তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সফলতার পর একমাত্র তিনিই শিল্পী হিসেবে বহুবার কথা বলেছেন এবং অভিনেতার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তবুও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুব ছোট ছোট ব্যাপারকে বড় বানিয়ে তাকে নিয়ে ট্রল করা হচ্ছে। জয়ের ভাষ্য— ‘এবার আমার রিজিক কেড়ে নেওয়া হলো। কারণ অভিনয় আমার রিজিক। পোস্টারে আমার ছবি না থাকা প্রমাণ করে অভিনয় জগতে আমার ভবিষ্যৎ কী!’
এদিকে, রায়হান রাফির প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘ব্ল্যাক মানি’ থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে জয়কে। যেখানে অনেক আগে থেকেই কাজ করার কথা ছিল তার। তবে শুটিং ঘোষণার আগেই অস্পষ্ট কারণে বাদ পড়েছেন তিনি। এ বিষয়ে জয় বলেন, ‘একদিন রাফি আমাকে ফোন করে বলল কর্তৃপক্ষ বলেছে আপাতত আপনাকে এভয়েড করতে। অথচ তিন মাস ধরে আমি রাফির এই কাজটা করার স্বপ্নে ছিলাম! তাহলে কি ধরেই নিব- বিদায় অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়।