দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বলিউডের ‘ভাইজান’ খ্যাত অভিনেতা সালমান খানের বার্তা নিয়ে বি-টাউন থেকে সরাসরি ঢাকার বনানীতে হাজির হয়েছেন তার ভাই সোহেল খান। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ বলিউড তারকা ঢাকায় পৌঁছেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক ভিডিও বার্তায় সালমান খান বলেন, হাই বাংলাদেশ। তোমাদের জন্য একটি সারপ্রাইজ আছে। আর সেটি হচ্ছে ‘বিইং হিউম্যান ক্লথিং’ ঢাকার বনানীতে চালু হতে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীর আউটলেটে হাজির হন সোহেল খান। তাকে নেচে-গেয়ে বরণ করে নেন একদল নৃত্যশিল্পী। এসময় সোহেল খান নিজেও খানিকটা নেচে সঙ্গ দেন নৃত্যশিল্পীদের।
এ সময় গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ঢাকায় প্রথমবারের মতো এই প্রতিষ্ঠানের শোরুম চালু করতে সালমানের পরিবার বেশ খুশি। বনানীর শোরুমটি জনপ্রিয়তা পেলে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি আরও কয়েকটি শাখা চালু করবে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের মানুষের প্রশংসা করে সোহেল খান বলেন, এখানে এসে আপনাদের দেখে অসাধারণ লাগছে। কারণ, প্রতিটি মানুষ হাসিখুশি। মনে হচ্ছে সবাই সুখী। আরও মনে হলো, সবাই সালমান খানের এই উদ্যোগের অংশীদার। অথচ, আমি এখানে নামার আগে খুব নার্ভাস ছিলাম। মনে মনে ভাবছিলাম, সালমানের বদলে আপনারা আমাকে গ্রহণ করবেন তো!
বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সিনেমা আমি দেখেছি। ভাষাটা না বুঝলেও আমাদের কালচার তো একই। নাচ-গান-অভিনয়, দারুণ লাগে। তাছাড়া বাংলাদেশ এখন গ্রোয়িং কান্ট্রি। হলিউড, বলিউড, টলিউড, ঢালিউড খুব দ্রুতই এক হয়ে যাবে। কারণ, এখন সিনেমাটা গ্লোবালি মুভ করছে।
তিনি আরও বলেন, আমি বাংলা ফুডের অপেক্ষায় আছি, এখনও মুখে তোলার সুযোগ পাইনি। সরাসরি এসেছি। তবে খাওয়ার সময় হাতে রেখেছি। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আছি। মাছ আর বিরিয়ানি খাব ভাবছি। তাছাড়া খাবার বিষয় না, আপনাদের এই ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোহেল খানের সঙ্গে হাজির ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও সঞ্জিব রাও এবং সালমান খানের ভাতিজা আয়ান অগ্নিহোত্রি। ২০১২ সালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভারতের মুম্বাইতে শুরু হয় ‘বিইং হিউম্যান’-এর পথচলা। পোশাকের এই ব্র্যান্ডটির বিক্রয়ের লভ্যাংশের একটা অংশ ব্যয় করা হয় পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে। বাংলাদেশে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির স্বত্বাধিকারী হিসেবে আছেন আর রেহমান ও মোহাইমিন মোস্তফা।
এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টি দেশে পাঁচশ’টিরও বেশি আউটলেটের মাধ্যমে সালমান তার এই চ্যারেটি ফ্যাশন ট্রাস্টের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।