দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ঢালিউড বাদশা শাকিব খান। দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রজগতে দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষস্থান দখল করে আছেন তিনি। ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশে মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘তুফান’ সিনেমা। গত ৫ জুলাই ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। বক্স অফিসও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সিনেমাটি।
স্বাভাবিক কারণে দুই বাংলায় এখন আলোচিত নাম শাকিব খান। এসব বিষয়কে সামনে রেখে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শাকিব। এসময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, শাকিব খান বাংলাদেশের ‘রাজা’। কেউ বলেন, মুডি। এই রাজার রাজত্বটা আসলে কেমন?
এ প্রশ্নের জবাবে শাকিব খান বলেন, ‘সত্যিই যদি আমি রাজা হতাম! মুডি হয়তো তারা ভাবেন, যারা আমাকে সামনে থেকে দেখেননি। আপনার কি মনে হলো, আমি কি মুডি? আমার শত্রুরাও আছেন। আসলে রাজত্ব দু’ভাবে পাওয়া যায়। যুদ্ধ করে পাওয়া যায় বা যুদ্ধ ছাড়া ভালোবাসা দিয়ে পেতে হয়। আমি যুদ্ধ না করে রাজত্ব পেয়েছি। আমি বাঙালির মনের রাজা।’
সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ চলচ্চিত্র দিয়ে শাকিব খানের যাত্রা শুরু। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি বাণিজ্যিকভাবে খুব একটা সফল না হলেও নায়ক হিসেবে শাকিব খান চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। যদিও ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি শাকিব খানকে।
শাকিব খান অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে— ‘মাই নেম ইজ সুলতান’, ‘স্বপ্নের বাসর’, ‘মুখোশধারী’, ‘প্রিয়তমা’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সাহসী মানুষ চাই’, ‘জানের জান’, ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘ঠেকাও মাস্তান’, ‘বস্তির রানী সুরিয়া’, ‘খুনি শিকদার’, ‘সুভা’, ‘বাঁধা’, ‘পিতার আসন’, ‘১ টাকার বউ’ প্রভৃতি।
অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালে ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’, ২০১৪ সালে ‘খোদার পরে মা’, ২০১৬ সালের ‘আরও ভালোবাসব তোমায়’, ২০১৭ সালে ‘সত্তা’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাকিব খান।