1. bazmedialink7@gmail.com : Baz Alam : Baz Alam
  2. mdkaif01133@gmail.com : md :
  3. talhanrcc2014@gmail.com : Talha : MD TALHA
  4. deshbidesh2022@gmail.com : Tuhin Ahmed : Tuhin Ahmed
নারায়ণগঞ্জে মা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে খুন... - DeshBideshNews
November 24, 2024, 9:27 am
 

নারায়ণগঞ্জে মা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে খুন…

  • Update Time : Tuesday, March 1, 2022
  • 119 Time View

ডেস্ক রিপোর্ট : আজ মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জে একটি ভবনের ফ্ল্যাট থেকে মা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক তরুণ গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশ বলছে- জোবায়ের (২৬) নামের ওই তরুণ ভবনটির নিচতলা থেকে প্রতিটি ফ্ল্যাটে কলবেল চাপেন। কিন্তু কেউ দরজা খোলেননি। ছয়তলার ফ্ল্যাটে কলবেল বাজানোর পর দরজা খুলে দিতেই এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে দুজনকে হত্যা করেন জোবায়ের।

নিহত দুজন হলেন পাইকারি ব্যবসাকেন্দ্র নিতাইগঞ্জ ডালপট্টি এলাকার রামপ্রসাদ চক্রবর্তীর স্ত্রী রুমা চক্রবর্তী (৪৬) ও তাঁর মেয়ে ঋতু চক্রবর্তী (২২)। নিহত ঋতু সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ডালপট্টির ৮ নম্বর বি দাস সড়কের ছয়তলা ওই ভবনের নাম মাতৃ ভবন।

আটক আল জোবায়ের (২৬) নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার সময় চিৎকার শুনে আশপাশের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা ওই ভবনের মূল ফটকে তালা দেন। পরে পুলিশ ভেতরে আটকা পড়া হামলাকারী যুবককে আটক করেছে। তাঁর কাছ থেকে তিনটি ছোরা জব্দ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- মঙ্গলবার পৌনে তিনটার দিকে মাতৃ ভবনের ছয়তলার ফ্ল্যাটে অভিযুক্ত জোবায়ের হানা দেন। তিনি ওই ফ্ল্যাটের কলবেল চাপলে রুমা চক্রবর্তী দরজা খুলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গলা চেপে ধরেন এবং ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। রুমার মেয়ে ঋতু চক্রবর্তী এগিয়ে এলে তাঁকেও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। এ সময় পাশের রুমে থাকা রুমার ছেলের বউ শীলা ঘর থেকে বের হন। জোবায়ের তখন ঘর থেকে বঁটি নিয়ে শীলাকে কোপ দিতে যান। শীলা অভিযুক্ত জোবায়েরকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এ সময় তাঁর হাতের বঁটি পড়ে গেলে সেটি নিয়ে দৌড়ে প্রাণ বাঁচাতে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসেন শীলা। জোবায়েরও তাঁর পিছু পিছু নিচে নামতে থাকলে শীলা তাঁকে বঁটি দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেন। তখন জোবায়ের ওই ফ্ল্যাটে ফিরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো বলেন- শীলার চিৎকার শুনে আশপাশের ব্যবসায়ীরা ওই ভবনের নিচের মূল ফটকের দরজা বন্ধ করে দেন এবং পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে অভিযুক্ত জোবায়েরকে আটক করে। তখন বাসার মেঝেতে নিহত রুমা ও অন্তঃসত্ত্বা ঋতুর লাশ পড়ে ছিল। ঘরের আলমারির মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেন। ওই সময় ফ্ল্যাটে রুমার স্বামীর রাম প্রসাদ চক্রবর্তী ও তাঁর ছেলে হৃদয় চক্রবর্তী বাড়িতে ছিলেন না।

রাম প্রসাদ চক্রবর্তী ডালপট্টি এলাকায় ইসলাম স্টোরে বিক্রেতা হিসেবে কাজ করেন এবং ছেলে একটি পোশাক কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। রাম প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন- চিৎকার চেঁচামেচি ও লোকজনের ভিড় দেখে ফ্ল্যাটে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ফটকে তালা বন্ধ থাকায় ভেতরে যেতে পারেননি। তিনি তাঁর স্ত্রীর মুঠোফোনে ফোন করলে জোবায়ের ফোন ধরে বলেন- স্বর্ণালংকার ও টাকাপয়সা কোথায় কী আছে বল, না হলে সবাইকে মেরে ফেলব।

রাম প্রসাদ বলেন- অভিযুক্ত জোবায়ের তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে আগেই হত্যা করেন। পাশের রুমে গিয়ে তাঁর ছেলের স্ত্রী শীলাকে হত্যার চেষ্টা করলে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে বঁটি ধরে ফেলেন এবং ধাক্কা দিয়ে জোবায়েরকে ফেলে দিয়ে নিচে নেমে আসেন। না হলে তাঁর ছেলের বউকেও মেরে ফেলতো। তিনি বলেন- দুপুরে তিনি বাসায় খেতে যান। এ কারণে হয়তো কলবেলের শব্দ শুনে স্ত্রী দরজা খুলে দেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঋতু চক্রবর্তীর চট্টগ্রামে বিয়ে হয়েছে। তাঁর স্বামী সেখানে লরির ব্যবসা করেন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে বাবার বাড়িতে এসে থাকছেন। তাঁর ভাই হৃদয় চক্রবর্তী ঢাকার বাড্ডার এলাকার শীলাকে বিয়ে করেছেন। তিন চার দিন যাবৎ শীলা তাঁদের সঙ্গে থাকছেন।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ