1. bazmedialink7@gmail.com : Baz Alam : Baz Alam
  2. mdkaif01133@gmail.com : md :
  3. talhanrcc2014@gmail.com : Talha : MD TALHA
  4. deshbidesh2022@gmail.com : Tuhin Ahmed : Tuhin Ahmed
২২০০ পশুর মাংস বিতরণ হবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে - DeshBideshNews
November 28, 2024, 10:48 pm
 

২২০০ পশুর মাংস বিতরণ হবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে

  • Update Time : Sunday, June 16, 2024
  • 68 Time View
২২০০ পশুর মাংস বিতরণ হবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে

দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রায় অধিকাংশ মুসলিম ধর্মাবলম্বী হওয়ায় তারা ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে দুই হাজারের বেশি গরু-ছাগল জবাই করা হবে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন দাতা সংস্থার (এনজিও) পক্ষ থেকে পাওয়া এসব পশু উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে পাঠানোর প্রক্রিয়াও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এর মধ্য ১ হাজার ৮০০টি গরু এবং ৪০০টি ছাগল রযেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরসি) মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা।

তিনি বলেন, ‘অন্য বছরের তুলনায় এবার ক্যাম্পগুলোতে কোরবানি পশু বরাদ্দ কমেছে। এবারে রোহিঙ্গাদের জন্য ২ হাজার ২০০টি কোরবানির পশু পাওয়া গেছে। এগুলো চাহিদার অনুযায়ী অপ্রতুল। তবে যেসব পশু পেয়েছি, সেগুলো একত্রিত করে যেখানে, যতটা দরকার পাঠানো হচ্ছে। এসব পশু জবাইয়ের পর মাঝিদের সহযোগিতায় ক্যাম্প ইনচার্জদের তত্ত্বাবধানে মাংস বণ্টন করা হবে।

আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, ‘বাংলাদেশে সোমবার পর্যন্ট সাতটি কোরবানির ঈদ পার করতে যাচ্ছি। আমরা মিয়ানমারে থাকা অবস্থায় ২-৩টি বড় গরু কোরবানি দিতাম। কিন্তু এখানে আসার পর সেই সুযোগ হয়নি।’

তিনি বলেন, সাত বছর হতে চলছে। তবুও আমাদের কোনো কূল-কিনারা হচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের ঈদের আনন্দ বলতে কিছু নেই। আমরা ‘খোলা কারাগারে’ কষ্টের জীবনযাপন করছি। এরপরও আমাদের আশা, অন্তত আগামী বছর নিজ দেশে ঈদ উদযাপন করতে পারবো।

টেকনাফের জাদিমুড়া শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা বজলুল রহমান বলেন, আমার অধীনে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বসতি। এখানে সন্ধ্যার মধ্যে কোরবানির পশু পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট ঈদুল আজহার মাত্র কয়েকদিন আগে রাখাইনের ৩০টি নিরাপত্তা চৌকিতে একযোগে হামলার ঘটনা ঘটে। এর প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন-নিপীড়ন শুরু করে। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে পুরনোসহ উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। তবে জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫৭। যদিও সংখ্যা বেশি বলে ধারণা স্থানীয়দের।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ