দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ, তত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বর্তমান সংসদ বহাল রেখে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে দেশে কোনও নির্বাচন হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। তিনি বলেন, ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মত একতরফা নির্বাচন বাংলাদেশে আর হবে না। তাছাড়া ইভিএমেও ভোট হবে না। জনগণ তা হতে দেবে না। সুতরাং সরকারের ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করার কোনও পরিকল্পনা থাকলে তা ভুলে যেতে হবে। নির্বাচনের পূর্বে সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন আমান উল্লাহ আমান। এসময় তিনি বলেন, হামলা-মামলা, অত্যাচার-নির্যাতন, গ্রেপ্তার করে, জেলে পুরে বিএনপির চলমান আন্দোলনকে দমানো যাবে না। আমরা রাজপথে নেমেছি, এই সরকারকে বিদায় করে তবেই ঘরে ফিরবো।
আমান বলেন, ১৯৫২, ৬২, ৬৯, ৭১ এবং ৯০- এ রাজনৈতিক ফয়সালা হয়েছে রাজপথে। এবারও সব রাজনৈতিক ফয়সালা হবে রাজপথে। প্রয়োজনে দেশে ৬৯ এর মত আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে। গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান প্রসঙ্গে আমান বলেন, পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করে যেভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে, সব ভাঙচুর করেছে, লুটপাট করেছে; তা পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, দুপুরে নাগরিক মঞ্চের চারটি দলের নেতৃবৃন্দ বিএনপির ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনে আসেন। এসব নেতারা হলেন- বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম, মহাসচিব মো. শওকত হেসেন, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান মুফাসসির অধ্যাপক বাজলুর রহমান আমিনী, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদ হোসেন।