দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তাবলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিএনপি ঘোষিত মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে এ নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই দেখা গেছে, নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় যারাই প্রবেশ করছেন, তাদেরকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই হাতে থাকা মোবাইল ফোনের হয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার চেক করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এছাড়া বিএনপি কার্যালয় সংলগ্ন পুরো এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ রয়েছে। অলিগলিতে বেরিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় এই ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। এই এলাকায় যদি কারও বাসা থাকে, তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে কেউ ঢুকতে পারবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টারের ইনস্পেকটর মোহাম্মদ আরমান হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কেউ যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করছি। যানবাহন চলাচল সীমিত হলেও জরুরি প্রয়োজনে যারা যাতায়াত করছেন তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে না।
নয়াপল্টন এলাকায় ঢুকতে গেলে পুলিশের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। ওই এলাকায় বসবাসরতদের ঢুকতে দেওয়া হলেও তাদের মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপও চেক করছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, ঊর্ধ্বতন নির্দেশনায় এই ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। এই এলাকায় যদি কারও বাসা থাকে, তাদের আমরা ঢুকতে দিচ্ছি, এর বাইরে কেউই ঢুকতে পারবে না।
সকাল ১০টায় বিজয়নগর, নাইটিঙ্গেল মোড় এবং ফকিরাপুল মোড় ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। ব্যারিকেড দেওয়া এলাকায় দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে।
মো. সজিব মিয়া বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে গাড়িচালক হিসেবে কাজ করেন। পল্টন এলাকায় অফিস হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। পুলিশের সঙ্গে তার কোম্পানির এমডির সাথে মোবাইলে কথা বলিয়ে ছাড় পান তিনি। তারপরও সজিব মিয়ার মোবাইলের মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপ চেক করে ওই এলাকায় তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান জানান, ওপর থেকে নির্দেশনা আছে এই এলাকায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। তারপরও আমরা ওই এলাকায় বসবাসরত বা যৌক্তিক কারণে কেউ এলে তাকে আমরা ঢুকতে দিচ্ছি। এক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যরা কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে চেক করছে। ব্যারিকেড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকাল রাত থেকেই ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। আজকে ছাড়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।