নিজস্ব প্রতিনিধি : সিলেটে এখনো পানিবন্দি লাখো মানুষ। এই ক’দিন সিলেটে নদ-নদীর পানি ধীর গতিতে নামলেও হঠাৎ পানি বেড়েছে সুরমায়। তবে, পানি বাড়লে আশ্রয় কেন্দ্রে ছেড়ে বাড়ি ফেরা নিয়ে শঙ্কায় আছেন বানভাসি মানুষ।
পাউবো সূত্রে জানা যায়- সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ওই পয়েন্টে পানি ছিল ১৩ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার। সেখানে আজ সোমবার সকাল ৬টায় ১৩ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটারে পৌঁছায়। পরে সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ৪৭ সেন্টিমিটারে নামে। নদীর সিলেট পয়েন্টেও রোববারের তুলনায় পানির প্রবাহের পরিমাণ বেড়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টায় নদীর পানি ১০ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ সোমবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
তবে কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানি রোববার থেকে আজ সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটার দিয়ে অপরিবর্তিতভাবে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। সেখানে সোমবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। লুভা নদীর লুভা পয়েন্টে ১৩ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার, সারি নদের সারিঘাট পয়েন্টে ১০ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়- মূল সড়কগুলো থেকে পানি নেমে গেলেও পাড়া মহল্লা’র ভেতরে পানি জমে আছে। এসব পানিতে ময়লা জমে কালো রং ধারণ করেছে। বাসিন্দারা এসব পানি মাড়িয়েই চলাফেরা করছে। এ ছাড়া নগরীর ছড়া, খালগুলো ময়লা আবর্জনা পড়ে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতার তৈরি হয়েছে। নগরীর মির্জা জাঙ্গাল এলাকার একটি ছড়ায় পানির ওপর ময়লা আবর্জনা ভেসে থাকতে দেখা যায়।