নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে বিএম কনটেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ।
রোববার বিকালে ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
আজ ৫ জুন রোববার সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক মেজর (অব) শামসুল হায়দার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে নগদ সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়া যারা গুরুতর আহত হয়েছেন কিংবা অঙ্গহানির শিকার হয়েছেন তাদেরকে ৬ লাখ টাকা করে এবং আহতদের ৪ লাখ টাকা করে প্রদান হবে।
বিএম কনটেইনার মালিক পক্ষ আরও জানান- এই মর্মান্তিক অগ্নিদুর্ঘটনায় মারা যাওয়া প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মচারীর পরিবারে শিশু থাকলে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার পরিবারকে বেতনের সমপরিমাণ টাকা কর্তৃপক্ষ প্রদান করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে সীতাকুণ্ডে সোনাইছড়ী ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে গতকাল শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৯জন ফায়ার সার্ভিসকর্মী।
তাদের মধ্যে কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মী গাউসুল আজম ও সীতাকুণ্ডু স্টেশনের রবিউলকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। গাউসুলের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং রবিউলের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার ২৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সেই আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দমকল বাহিনী কর্মীদের।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত আগুন নেভাতে চেষ্টা করছে ২৬টি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী থেকে অফিসাররা যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ২৫০ জন সদস্য সেখানে উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
ফায়ার সার্ভিস জানায়- কনটেইনার ডিপোটিতে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক ‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড’ ছিল। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড একটি রাসায়নিক যৌগ। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।