নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট বিভাগে ভয়াবহ বন্যায় তছনছ করে দিয়ে ধীর গতিতে নামছে বানের পানি। কখনো কমছে আবার কখনো নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বেশিরভাগ এলাকা এখনো প্লাবিত। সিলেট বিভাগে সোয়া কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৬৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬৬৫ জন। বিভাগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৬ লাখ ২২ হাজার ৯৬৮টি।
সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী- সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জের প্রায় ৩০ লাখ লোকজন। সিলেট জেলা ও মহানগরে ২৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৩ জন, মৌলভীবাজারে ২ লাখ ৬২ হাজার ৭৩৬ এবং হবিগঞ্জে ৮৩ হাজার ৪৯০ জন।
সিলেট জেলা : ৩০ জুন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিলেট জেলা প্রশাসনের বন্যা সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সিটি কর্পোরেশনসহ ১৩ টি উপজেলা ও ৫ টি পৌরসভার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৩ পরিবার। মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ২৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৩ জন। আর কাঁচা ঘরবাড়ি বন্যায় ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০ হাজার ৯১টি।
সিলেট সিটি করপোরেশনসহ জেলায় ৬১৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৫২ হাজার ৮৭৮ জন আশ্রয় নেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৩৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন ৩৭ হাজার ১৭৬ লোকজন।
সুনামগঞ্জ : ৪টি পৌরসভা ও ১১টি উপজেলা এবং ৮৮টি ইউনিয়নের সব ক’টি প্লাবিত দেখিয়েছে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা। পানিবন্দি ৫৫ হাজার ৬৬০ পরিবার এবং জনসংখ্যার ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
হবিগঞ্জ : জেলা প্রশাসনের (ট্রেজারি, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা) সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন খান এলিস বলেন, বন্যায় ৬১৭ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়ে ২৪ হাজার ২৩০টি পরিবার এবং ৮৩ হাজার ৪৯০ লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭০টি। জেলায় ৩৫০টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৩৪৫ জন আশ্রিতদের মধ্যে বর্তমানে আট হাজার ১৯০ জন পুরুষ, আট হাজার ১৪ জন নারী, পাঁচ হাজার ১১ জন শিশু এবং ২০৪ জন প্রতিবন্ধী রয়েছেন।
মৌলভীবাজার : জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ছাদু মিয়া বলেন- বন্যায় ৫৮ হাজার ৫৯৫ পরিবার এবং ২লাখ ৬২ হাজার ৭৩৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া ১৪ হাজার ৩০৯টি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।