দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে রিমান্ডের নামে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার দল।
গণঅধিকার পরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২০ জুলাই ভোর বেলা তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে ৩৯ ঘণ্টা পর তাকে আদালতে তোলা হয়। আদালতে তোলার পূর্বেও তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে যা নুরুল হক নুর আদালতকে অবহিত করেন। ঐদিন আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুক্রবার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে নুরুল হক নুর ঠিকমতো হাঁটতে পারছিলেন না, পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই এজলাসে আসেন, এ সময় নুরুল হক নুর তার স্ত্রী ও আইনজীবীদের জানান-যে গত ৫ দিন রিমান্ডের নামে তাকে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে, তাকে ঝুলিয়ে পিটানো হয়েছে এবং ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে। রিমান্ড শেষে আজকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। নুরুল হক নুরকে রিমান্ডের নামে অমানবিক শারীরিক নির্যাতনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে গণঅধিকার পরিষদ।
বিগত কয়েকদিন যাবত সরকার অন্যায়ভাবে কোনো প্রকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের আটক করছে। আটকের পর নেতাদের রিমান্ডে নিয়ে মিথ্যা জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অন্যায় কাজ। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে গণ গ্রেপ্তারের নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার বাণিজ্য চালাচ্ছে। একদিকে সরকার ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত করে তাদের মনগড়া মিথ্যা বানোয়াট তথ্য সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করছে অন্য দিকে দেশের আসল চিত্র আড়াল করার চেষ্টা করছে।
সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের ফলে দেশের গণমাধ্যম সঠিক সংবাদ জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারছে না। গণঅধিকার পরিষদ এই গণগ্রেপ্তার বন্ধ, সম্পূর্ণভাবে ইন্টারনেট চালু করা, কারফিউ তুলে নেওয়া ও দেশে ঘটে যাওয়া গণহত্যার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানায়।