দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ও নিউ ইংল্যান্ড মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রবাসী নাসিম পারভীনের বোস্টনের নিজ বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনের নিকটস্থ শহর ওয়েষ্ট রক্সবুরির নিজ বাড়ির দরজা ভেঙ্গে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোস্টনের আওয়ামীলীগ নেতা ওসমান গণি।
তিনি জানান, নাসিম পারভীনের ১ ছেলে ও ১ মেয়ে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের অন্যান্য শহরে থাকেন। উভয়ের ব্যস্ততার কারণে মাঝে মধ্যে মায়ের সাথে দেখা হত। সর্বশেষ মায়ের সাথে তাদের ফোনে কথা হয় গত বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল)। এরপর অনেক চেষ্টা করেও তারা আর মাকে ফোনে পাননি। এতে তাদের সন্দেহ হলে মঙ্গলবার বিকেলে ওয়েষ্ট রক্সবুরির বাসায় গিয়ে কলিং বেল টিপে এবং দরজায় ধাক্কা দিয়ে সাড়া না দিলে পুলিশে খবর দেন তাঁর ছেলে। পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে নাসিম পারভীনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তিনি কবে, কখন এবং কীভাবে মারা গেছেন এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা জানা যায়নি।
আওয়ামীলীগ নেতা ওসমান গণি জানান, নাসিম পারভীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে জাতিসংঘের অধিবেশনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্কে এলে নাসিম পারভীনের সাথে দেখা হয়। উভয়ে আলিঙ্গন করে কুশল বিনিময় করেন। নাসিম পারভীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী হলেও তাদের দেখা হয়েছিল ৩০ বছর পর।
বোস্টন প্রবাসী নাসিম পারভীন সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সাবেক স্ত্রী। তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি ১ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের (বোস্টনের নিকটস্থ) ওয়েষ্ট রক্সবুরির বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করতেন। পরে ছেলেমেয়েরা চাকুরির জন্য অন্যান্য শহরে বসবাস শুরু করলে তিনি ওই বাড়িতে একাই থাকতেন।
নাসিম পারভীন নিউ ইংল্যান্ড (বোস্টন) মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। এর আগে তিনি স্থানীয় আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ছিলেন। তাঁর দেশের বাড়ি পাবনা জেলায়। বুধবার পুলিশের কাছ থেকে মরদেহ হস্তান্তরের পর তাঁর নামাজে জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করা হবে বলে স্থানীয় মুসলিম কমিউনিটির নেতারা জানিয়েছেন। নাসিম পারভীনের মৃত্যুর খবরে বোস্টনের প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।