ডেস্ক রিপোর্ট : খুলনা’র দৌলতপুর এলাকার কয়েকটি দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেলের গায়ে যে দাম লেখা আছে, তার চেয়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা করে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছিল। বেশি দামে ভোজ্যতেল বিক্রির খবর পেয়ে ক্রেতা সেজে ওই দোকানগুলোতে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় বেশি দামে তেল বিক্রির ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তিন দোকানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে অধিদপ্তর।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত দৌলতপুর এলাকায় যৌথভাবে ওই অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ইব্রাহীম হোসেন ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহীনুর আলম বলেন- কয়েক দিন ধরে দৌলতপুর এলাকার বেশ কয়েকজন মুঠোফোনে জানাচ্ছিলেন ওই এলাকার কিছু দোকানে বোতলের গায়ে লেখা দামের চেয়ে বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে। বিষয়টি জানার পর আজ ক্রেতা সেজে দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হয়।
অভিযান চালাতে গিয়ে দেখা গেছে- ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের গায়ে লেখা রয়েছে ৮০০ টাকা। দোকানগুলো ওই তেল বিক্রি করছে ৮২০ থেকে ৮২৫ টাকায়। অনেক দোকানদার আবার বোতলের গায়ের দাম মুছে ফেলেছেন।
দোকানগুলোর নিত্যপণ্যের মূল্যতালিকাও টানানো ছিল না। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রির অপরাধে দৌলতপুর বাজারের মেসার্স নুরুল হক স্টোরকে ২০ হাজার টাকা, জয় স্টোরকে ৫ হাজার টাকা ও কাশেম স্টোরকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ওই বাজারের রহমান মাংসের দোকানে মূল্যতালিকার চেয়ে বেশি দামে মাংস বিক্রি করায় ২ হাজার টাকা ও মূল্যতালিকা না থাকায় সরদার ব্রাদার্সকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।