দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : উপজেলা নির্বাচন সংঘাতপূর্ণ হবে এমন আশঙ্কা করলেও বাস্তবে তেমনটা হয়নি জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল।
তিনি বলেন, ‘কোনো হতাহতের খবর পাইনি। নির্বাচন মোটামুটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শেষ হয়েছে। বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ষষ্ঠ উপজেলা ভোটে দেশের মোট ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী সাড়ে চারশত উপজেলায় চার ধাপে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। পরে মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বাকিগুলোয় ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ২১ মে এবং আর তৃতীয় ধাপে ৯০ উপজেলায় ২৯ মে ভোট গ্রহণ করা হয়। আর আজ চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন বর্জন করছে ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি। যে কারণে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেয়নি। প্রায় সব উপজেলায় মূলত আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। নির্বাচনে বড় ধরনের সহিংসতা হয়নি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসের কারণে স্থগিত হওয়া উপজেলাগুলো নির্বাচনের তারিখ ৯ তারিখে শিফট করা হয়েছে। চতুর্থ ধাপে ভোটার উপস্থিতি ৩৪ শতাংশের বেশি। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে তৃতীয় ধাপের ২২ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে ২টি উপজেলার নির্বাচন চতুর্থ ধাপের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর বাকি ২০টার নির্বাচন ৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে।