দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করার পর আওয়ামী লীগের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ, প্রত্যেকটি দফা একেকটি ভিন্ন চিন্তা-ভাবনা থেকে প্রণয়ন করা। এগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক ফিলোসফি, যা খুব কম রাজনীতিবিদই দিতে পারেন।’
গত কাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল বিএনপির মিডিয়া সেল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এখন কোনদিকে যাবে, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে আছে। দেশ কোন পথে যাবে, সেটা নিয়েও দ্বিধায় আছে। এই অবস্থা থেকে দেশ কিভাবে বের হবে? সেই প্রেক্ষাপটে কিন্তু রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে আবারও বর্তমান সরকার গভীর সঙ্কটে নিয়ে গেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে ২৭ দফা রূপরেখা বাস্তবায়ন করতে হবে। বিএনপির এই রূপরেখা বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশ পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। দেশকে গভীর গর্ত থেকে তুলে আনতে হলে ২৭ দফার বিকল্প নেই।’ ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের যে রূপরেখা দিয়েছে, তা সময়োপযোগী। আসলে দেশের যে অবস্থা, তার মেরামতের কোনো বিকল্প নেই।’
বিকল্পধারার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী বলেন, ‘গণতন্ত্র হলো বুর্জোয়া পদ্ধতি। আজকে ক্ষমতাসীনরা দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট করেছে। তাই, দেশ ও জনগণকে রক্ষা করতে হলে রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের বিকল্প নেই।’ স্বাগত বক্তব্যে জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘বিএনপি যে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ঘোষণা করেছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে উদ্দেশ্য সেটা বাস্তবায়ন হবে। আমাদের লক্ষ্য জনগণের কল্যাণে কাজ করা।’
কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ‘লাইফ সাপোর্টে থাকা গণতন্ত্র ও লক্ষ্যচ্যুত দেশকে পুনরুদ্ধার করতে হলে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের বিকল্প নেই।’ অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি বলেন, ‘বিএনপি ঘোষিত ২৭ দফা শুধু রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা নয়, এটা এখন বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সনদ।’ অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে। এখান দেশের মানুষ ও দেশকে রক্ষার স্বার্থে বিএনপির দেওয়া রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা হলো আমাদের মুক্তির গাইডলাইন।’ সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘দেশ ভালো চললে তো আজকে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা লাগত না। কিন্তু, দেশের কী পরিস্থিতি? এখানে ভোটাধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই। আর্থিক খাতে চলছে লুটপাট। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের লুটপাটের স্বদেশ আজ ধ্বংস প্রায়। এখানে থেকেই দেশ রক্ষার লক্ষ্যে বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ঘোষণা।’
ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খানের পরিচালনায় সভায় বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক একেএম মতিনুর রহমান, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনিসুর রহমান, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, অধ্যাপক খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম শিমুল, কৃষিবিদ অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এসএম শরিফুল করিম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রইস উদ্দিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক মো. নূরুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ড. শরিফুল ইসলাম দুলু, অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, মো. হারুন অর রশিদ, জাসাসের জাহিদুল আলম হিটো, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রকৌশলী মাহবুব আলম, কৃষিবিদ কেএম সানোয়ার আলম, শফিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Like this:
Like Loading...