দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে বিদ্যুতের দাম আপাতত না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিইআরসি। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য মকবুল ই ইলাহি, সদস্য বজলুর রহমান, সদস্য আবু ফারুক, সদস্য মো. কামরুজ্জামান, সচিব খলিলুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম পূর্ণ নির্ধারণ করা হয়নি। আগের দামটিই অব্যাহত থাকবে। ভোক্তা পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব বিশ্লেষণ ও পিডিবির আবেদনে তথ্যের অস্পষ্টতা থাকায় বিদ্যুতের দামবৃদ্ধির আবেদন বিবেচনা করা হয়নি।
গত ১৮ মে বিদ্যুতের পাইকারি (বাল্ক) মূল্যহার বৃদ্ধি নিয়ে বিইআরসিতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আইন অনুযায়ী গণশুনানির ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে মূল্যসংক্রান্ত বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গণশুনানিতে বিপিডিবি বিদ্যুতের দাম ৬৯ শতাংশ বাড়িয়ে ইউনিট প্রতি ৮ টাকা ৫৮ পয়সা করার প্রস্তাব করে। বর্তমানে বিপিডিবির সরবরাহকৃত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের পাইকারি দাম গড়ে ৫ টাকা ১৭ পয়সা।
দেশে বিদ্যুতের একক পাইকারি বিক্রেতা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। বিপিডিবির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনে গ্রাহক বা খুচরা পর্যায়ে বিতরণ করে দেশের পাঁচটি কম্পানি। এগুলো হলো ডেসকো, ডিপিডিসি, আরইবি, নেসকো ও ওজোপাডিকো। বিপিডিবিও পাইকারি বিদ্যুৎ বিক্রির পাশাপাশি দেশের কিছু এলাকায় সরাসরি বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দেশে গত ১২ বছরে ৯ বার বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। এ সময়ে পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দাম বাড়ানো হয়।