দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমির দ্বিতীয় লেগে আজ আবার সেই বার্নাব্যুতে মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আজও এক্স-ফ্যাক্টর হয়ে থাকছে এই বার্নাব্যু স্টেডিয়ামই। রিয়ালের শুভ্র সমুদ্রের মাঝে বায়ার্ন নিজেদের ধরে রাখতে পারবে কিনা সেটাই হয়ে উঠেছে বড় প্রশ্ন।
ওয়েম্বলির ফাইনালের প্রথম দল হিসেবে জায়গা নিশ্চিত করেই ফেলেছে জার্মান ক্লাব বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। এবার অপেক্ষা দ্বিতীয় দলের। বায়ার্ন মিউনিখ কি আরও একবার ফেরাবে ২০১৩ সালের অল জার্মান ফাইনালের স্মৃতি নাকি রিয়াল মাদ্রিদ যাবে নিজেদের ১৫তম শিরোপার লক্ষ্যে। বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত ১টায় রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে জানা যাবে কে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে।
ঘরের মাঠে প্রথম লেগে দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েও রিয়ালের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। জয়টা বাভারিয়ানরা পেয়েই যেত যদি না ভিনিসিয়ুস জুনিয়র আর টনি ক্রুসরা অসামান্য ফুটবল উপহার না দিতেন। এই দুজনের যুগলবন্দীই বায়ার্নকে রুখে দিয়েছিল সেদিন। আজ ঘরের মাঠে ভিনিসিয়ুসের পাশাপাশি রদ্রিগো আর জ্যুড বেলিংহামের কাছ থেকেও বেশি কিছু প্রত্যাশা থাকবে রিয়াল সমর্থকদের।
বায়ার্ন মিউনিখ এবং রিয়াল মাদ্রিদ যুগে যুগে উপহার দিয়েছে বহু আইকনিক ম্যাচ। এই দুই দল যখনই মুখোমুখি হয়েছে, কোনো ম্যাচই গোলশূন্য ড্র হয়নি। ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে প্রথমবার সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল তারা। সেবার ৩-১ অ্যাগ্রিগেটে জয় তুলে নিয়েছিল বায়ার্ন। সবশেষ ম্যাচটা শেষ হয়েছে ২-২ গোলের ড্রয়ে। আজকের ম্যাচেও তাই গোলের পসরা দেখা যাবে– এমন আশা করাই যায়।
এরপর থেকে দুই দল বহুবার একে অন্যের বিপক্ষে খেলেছে। তবে সামগ্রিকভাবে বায়ার্নের হতাশা একটু বেশি। দুই দলের সবশেষ তিন দেখায় রিয়াল হেসেছে শেষ হাসি। ২০১৩-১৪ এবং ২০১৭-১৮ মৌসুমে এই রিয়ালের কাছে হেরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে বায়ার্নকে। বায়ার্নের জন্য আজকের লড়াইটা তাই অনেকটা প্রতিশোধের।
ভিনিসিয়ুস জুনিয়র সময়ের অন্যতম সেরা তারকা। গেল ম্যাচে দুই গোল করেছেন। চলতি মৌসুমে ইউসিএলে আছে ৫ গোল এবং ৪ অ্যাসিস্ট। তবে এর পাশাপাশি জ্যুড বেলিংহামকেও নিতে হবে দায়িত্ব। চলতি মৌসুমে রিয়ালের ত্রাতা হয়েছেন বহুবারই। এবার তাই আরেকদফায় তার ওপর ভরসা করতে চাইবে লস ব্লাঙ্কোসরা। তাদের সঙ্গে রদ্রিগো তো আছেনই। ঘরের মাঠে যার তুলনা পাওয়া ভার।
মাঝমাঠে টনি ক্রুস গত ম্যাচে গড়ে দিয়েছিলেন ব্যবধান। প্রফেসর ডাকুন বা স্নাইপার, ক্রুস এই বয়সেও মাদ্রিদের মাঝমাঠের কাণ্ডারি। এমন একজনের প্রতি আরও একবার ভরসা রাখতে চাইবেন রিয়াল কোচ কার্লো অ্যানচেলত্তি।