দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : আরাকান আর্মি (এএ) ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধবস্থায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বাংলাদেশের মাটিতে পড়েছে। আর এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগে, গত ২৮ আগস্টেও দুটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তমব্রুর উত্তর মসজিদের কাছে পড়েছিল। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এ ঘটনা ঘটে। বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে যথাযথ সতর্ক অবস্থায় আছে। জেলার সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে ২৮ অগাস্ট দুপুরে ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে দুটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল এসে পড়ার পর দেশটির রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিল ঢাকা।
তার পাঁচ দিনের মাথায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে পড়ার তথ্য জানিয়ে এসপির বিবৃতিতে বলা হয়, এ সময় যুদ্ধবিমান থেকে আনুমানিক আট-থেকে ১০টি গোলা এবং হেলিকপ্টার থেকে ৩০ থেকে ৩৫টি ফায়ার করতে দেখা গেছে। আরও বলা হয়, যুদ্ধবিমান থেকে ফায়ার করা দুটি গোলা ৪০ নম্বর সীমান্ত পিলার ১২০ মিটার বরাবর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু সীমান্ত পিলার ৩৪ ও ৩৫ নম্বর এলাকায় মিয়ারমানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিপি) রাইট ক্যাম্প থেকে ভারী অস্ত্রের ফায়ার এখনও চলমান রয়েছে। এ ছাড়া মুরিঙ্গাঝিরি ও রাইট ক্যাম্প থেকে থেমে থেমে মর্টার ফায়ারও অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।