দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : আর একদিন পরেই জানা যাবে কে হাসবেন শেষ হাসি। মামা না ভাগ্নে। বলছি ফেঞ্চুগঞ্জের ঘিলাছড়া আসন্ন ইউপি নির্বাচনের কথা। সেখানে এবার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মামা ভাগ্নে। মামা সাইফুল ইসলাম দাড়িয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে। আর ভাগ্নে দাড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। তবে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক বলে জানা গেছে।
আগামীকাল ১৬ই মার্চ ফেঞ্চুগঞ্জে ভোটগ্রহণ। হাকালুকির নয়নাভিরাম তীর ঘিলাছড়ায় এখন হাট, ঘাট, মাঠ, পথে, প্রান্তরে চলছে প্রার্থীদের প্রচারণা। বাড়ি, মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সর্বত্র প্রচারকারীদের আনাগোনা। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে চারপাশ। ভোটারদের মনে বেশ আনন্দ। গত বছরের উদাহরণ টেনে অনেকে এবারও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
ঘিলাছড়ার বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের লেইছ চৌধুরী। বিগত নির্বাচনে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একমাত্র বিজয়ী চেয়ারম্যান ছিলেন। এবারের নির্বাচন থেকে তিনি স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন। নির্বাচনে মামা-ভাগ্নের লড়াইয়ে কে জিতবেন তা জানা যাবে আর একদিন পরেই। তবে আওয়ামী লীগ বিজয় ধরে রাখতে চায়।
সাইফুল ইসলামের ভাগ্নে স্বতন্ত্র প্রার্থী রুকুনুজ্জামান চৌধুরী জানান, আমি মৌসুমী বাতাসে বেড়াতে আসা কোনো গাংচিল বা অতিথি পাখী নই, গত এক যুগের বেশি সময় ধরে ঘিলাছড়া ইউপিবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের কল্যাণে কাজ করাই আমার লক্ষ্য। তিনি বলেন, তার নেতাকর্মীদের পরোক্ষভাবে নানা হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে নির্বাচন থেকে সরে যেতে।
রুকুনুজ্জামান চৌধুরীর মামা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম মনা জানান, আমি জনগণের সেবা করতে চাই। আওয়ামী লীগ আমাকে মনোনীত করেছে। নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি ঘিলাছড়াকে যুগোপযোগী আধুনিক একটি ইউনিয়নে রূপান্তরের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ঘিলাছড়ায় চেয়ারম্যান পদে আরও যারা রয়েছেন তারা হলেন- সাবেক উপজেলা ও ঘিলাছড়ার চেয়ারম্যান মো. আপ্তাব আলী, আশরাফ আলী খান শীরু, মাওলানা আমিনুর রহমান জুয়েল, আক্তার হোসেন উস্তার, বোরহান উদ্দিন সিন্দু। ঘিলাছড়া ঘাটের বাজারের জয়নাল অবেদীন জানান, বিগত নির্বাচন ছিল অবাধ ও নিরপেক্ষ। মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ও নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিল। এ জন্য সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর কথা তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে স্বরণ করেন। এবারের ইউপি নির্বাচনও অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।