দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৪ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের সেই কালো দিন। ১৪ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সাবেক বিডিআর ও বর্তমান বিজিবি সদর দপ্তরে ঘটে এক মর্মান্তিক নৃশংস ঘটনা। সেদিনের সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
দিনের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাদের সামরিক সচিবরা শ্রদ্ধা জানানোর পর তিন বাহিনী প্রধানরা শ্রদ্ধা জানান। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রধানের পর নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে স্বজনরা নারকীয় সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যকরের দাবি করেন।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সাবেক বিডিআর ও বর্তমান বিজিবি সদর দপ্তরে ঘটে এক মর্মান্তিক নৃশংস ঘটনা। তখন সকাল ৯টা ২৭ মিনিট। দরবার হলে চলমান বার্ষিক দরবারে একদল বিদ্রোহী বিডিআর সৈনিক ঢুকে পড়ে। সিপাহি মঈন নামে এক জন বিডিআর সদস্য মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের বুকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে। এরপরই ঘটে যায় ইতিহাসের সেই নৃশংস ঘটনা। বিডিআরের বিদ্রোহী সৈনিকরা সেনা কর্মকর্তাদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে তাদের পরিবারকে জিম্মি করে ফেলে। পুরো পিলখানায় এক ভীতিকর বীভৎস ঘটনার সৃষ্টি করে। এ সময় তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বিজিবির সদর দপ্তর পিলখানায় সেদিন বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যরা যে তাণ্ডব চালিয়েছিল, তা পৃথিবীর কোনো বাহিনীর বিদ্রোহের ইতিহাসে পাওয়া যায় না।