মশিউর নেরু, ঢাকা অফিস : পিঁয়াজু ব্যাবসায়ী মাসুদ খান ‘দেশ বিদেশ’কে বলেন- মাত্র তিন’শত টাকা পুঁজি নিয়ে পিয়াজুর ব্যবসা শুরু করি, আজ ২০ বছর ধরে দু টাকা করে পিয়াজু বিক্রি করে এখন আমি কোটিপতি। এই সুস্বাদু পিয়াজু খেতে ভিড় করেন দুর-দুরান্তের মানুষ…।
বাংলাদেশের গাজীপুর কালিয়াকৈরের বরইতলী এলাকার বাসিন্দা মাসুদ খান ফুটপাতে পিঁয়াজু বিক্রি করে কোটিপতি হয়েছেন। বর্তমানে ৩০ জন কর্মচারী রয়েছেন তার দোকানে। ৩০ বছর আগে তার বাবা আব্দুর রহমন কালিয়াকৈর বাজার মোড়ে ফুটপাতে চার আনা থেকে এক টাকা পর্যন্ত খুচরা পিঁয়াজু বিক্রি করতেন। তখন মাসুদ পড়ালেখার পাশাপাশি বাবার সঙ্গে ওই দোকানে সময় দিতেন। বাবা মারা গেলে তিনি ওই দোকানেই পিঁয়াজু ব্যবসার হাল ধরেন। তাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। ওই দোকানের আয় থেকে তিনি তার ছোট ছয় বোনের বিয়ে দিয়েছেন। এখন নিজেও কোটিপতি। তার দোকানে দৈনিক এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত পিঁয়াজু বিক্রি হচ্ছে।
মজাদার এ পিঁয়াজু খেতে বা নিয়ে যেতে দোকানটিতে প্রতিদিন ভিড় জমে মানুষের। দূরদূরান্ত থেকেও অনেকে আসেন।
এক কেজি পিঁয়াজু নিতে কালিয়াকৈরের চাপাই থেকে আসা আরেক ব্যক্তি বলেন- এখানকার পিঁয়াজু খুব ভালো। তাই মাঝেমধ্যেই আসি।
মাসুদ খানের পিঁয়াজুর দোকানের ম্যানেজার ওমর উদ্দিন জানান- আগে প্রতিদিন ৭০-৮০ হাজার টাকার পিঁয়াজু বিক্রি হতো। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত।
রোজা উপলক্ষে পিঁয়াজুর পাশাপাশি ইফতারের বিভিন্ন সামগ্রীও পাওয়া যায় এখানে। দোকানের কর্মচারীদের বেতন বাবদ প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান তিনি।