দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : কার্যকর স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ পাঁচ দফা দাবিতে ৭ জানুয়ারি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। গতকাল বুধবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ স.উ.ম আবদুস সামাদ এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়; কার্যকর স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে আগামী সয়সদ নির্বাচন দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মতিন, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মসিহুদ্দৌলা, আল্লামা আবু সুফিয়ান খান আবেদী, এম সোলায়মান ফরিদ, সৈয়দ মোজাফফর আহমদ মোজাদ্দেদী, অধ্যক্ষ আবু জাফর মুঈনুদ্দীন, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাড. ইসলাম উদ্দিন দুলাল, কাজী মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন সিদ্দীকি আশরাফী, মুহাম্মদ আবদুল হাকিম, মাস্টার আবুল হোসেন, অ্যাড. হেলাল উদ্দীন, সাইফুদ্দিন আহমদ, আব্দুল্লাহ আল জাবের, ইমরান হুসাইন তুষার, অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। সওম সামাদ বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় দেশের জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ, অজানা শঙ্কায় দেশের সাধারণ জনগণ। রাজনীতিতে অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও রাজনৈতিক সন্ত্রাস থেকে জাতি মুক্তি চাই।
তিনি বলেন, আমরা দলীয় সরকারের অধীনে ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন চাই না। এ দুটি ধারারই আমরা বিপক্ষে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মনে করে সাংবিধানিক ধারা সংশোধন করে কার্যকর স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই দেশে অংশগ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়-
১. তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়; কার্যকর স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা।
২. দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা।
৩. ঋণ-খেলাপি, অর্থ-পাচারকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে সহনীয় রাখা।
৪. জাতীয় শিক্ষাক্রমে ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতি পরিহার করে শিক্ষার সর্বক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষার বাধ্যতামূলক করা।
৫. অবহেলিত সুফিবাদী জনতার অধিকার আদায়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, একটি কার্যকর স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনকল্পে আমাদের প্রস্তাবনা হলো নির্বাচনকালে স্থানীয় সরকার, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও অর্থ- এ ৫টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে সাংবিধানিক পন্থায় ন্যস্ত। যদি উল্লেখিত মন্ত্রণালয়গুলো নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করা না হয় তবে কখনও নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে না। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আগে জনগণের পছন্দের প্রার্থীকে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ পরিবেশ থাকলে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এককভাবে আগামী নির্বাচনে দেশের সবকটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী দেবে।