নিজস্ব প্রতিনিধি : জাতীয় পার্টি’র চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের দায় সরকার এড়াতে পারে না। এমন বক্তব্যে প্রতিবেশি বন্ধু দেশ ভারতকেও অস্বস্তিতে ফেলেছে। দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের নেতা ও বিশিষ্টজনদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথাগুলো বলেন।
জিএম কাদের বলেন- হিন্দু শাস্ত্র মতে শিষ্টের লালন আর দুষ্টের দমনের জন্যই শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব। কিন্তু এখন দেশে চলছে, দুষ্টের লালন আর শিষ্টের দমন। এখন শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন না, এখন মুসলিমরাও সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়ে দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। এখন সৎ মানুষ হলে চাকরি মেলে না, আদর্শবান হলে ব্যবসা করতে পারছেন না। বেঁচে থাকার তাগিদেই এখন দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যাচ্ছেন সবাই। দেশে দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দুর্নীতির সুনামিতে ভেসে যাচ্ছে আদর্শ আর ন্যায়পরায়ণতা।
জিএম কাদের আরও বলেন- দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতিবছর দেশ থেকে লাখো কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। জবাবদিহির অভাবে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। কেউ দুর্নীতির সমালোচনা করলে সরকার তাকে ষড়যন্ত্রকারী ও রাষ্ট্রবিরোধী মনে করে। সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করতে চাইলে সমালোচনা শুনতে হবে এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন- এ বছর সরকারকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা ঋণের সুদ দিতে হচ্ছে। ২/১ বছরে আসলসহ সুদের টাকা পরিশোধ করতে হবে। তখন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়তে পারে দেশ। বিশেষজ্ঞদের আশংকা, তখন শ্রীলংকার মত দেউলিয়া হতে পারে দেশ। সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। ১২ হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স আর মুনাফার ৪২ হাজার কোটি টাকা সমন্বয় করলেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে হতো না। দেশের মানুষের কষ্ট হতো না, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সকল পণ্যের দাম আকাশচুম্বি হয়ে পড়েছে। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে মেগা প্রকল্প তৈরি করছে, কিন্তু মানুষ বাঁচাতে কোনো উদ্যোগ নেই।
জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজন দে ও যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের এমপি, সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারে মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিম চন্দ্র ভৌমিক, সুব্রত চৌধুরী, জে এল ভৌমিক, গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, নকুল চন্দ্র সাহা, সুমন কুমার রায়, দ্বীজমনি গৌরাঙ্গ দাস ব্রক্ষ্মচারী, জাতীয় পার্টির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শংকর পাল, সজন মিশ্র, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, একেএম আশরাফুজ্জামান খান, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নির্মল দাস, এম এ রাজ্জাক খান, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম বাসেত, গোলাম মোস্তফা, মিজানুর রহমান মিরু, যুগ্ম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল আজিজ, মাহমুদ আলম, কেন্দ্রীয় নেতা, আলাউদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান, আনোয়ার হোসেন আনু, কাজী মামুন, রমজান আলী ভূঁইয়া- প্রমূখ।