দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন যৌক্তিক বলে মন্তব্য করে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, কর্মক্ষেত্রে মেধাকে মূল্যায়ন করতে সীমিত আকারে নারী এবং প্রতিবন্ধী কোটা রেখে সব কোটা বাতিল করা উচিত।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে রংপুর সেনপাড়ার স্কাই ভিউ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন জাপা’র চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এছাড়া স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে বর্তমান সময়ে নাতি-পুতির জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটাও বহাল রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিনের ছাত্র আন্দোলনের পরিস্থিতি বিবেচনা এবং জনমত জরিপে আমরা দেখতে পেয়েছি দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কোটা আন্দোলনকারীদের পক্ষে। তাই কোটা বণ্টনের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে বিভাজন সৃষ্টি না করে আন্দোলনকারীদের সব দাবি-দাওয়া দ্রুত মেনে নেওয়া উচিত।
প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত আবেদ আলীদের মতো দুর্নীতিবাজদের প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার একটা সুবিধাভোগী এবং সুবিধাবাদী দুর্নীতিবাজ গোষ্ঠী তৈরি করছে। বরাবরই এসব দুর্নীতিবাজদের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে তারা। ফলে দুর্নীতি করে রাতারাতি টাকার কুমির হয়ে আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে দেশের হাজারো মহারথী দুর্নীতিবাজ। এই ধারার ভবিষ্যৎ ভালো না। তাই দুর্নীতিবাজদের রুখতে সরকারের আরও কঠোর ভূমিকা রাখা উচিত।
তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন উত্তরাঞ্চলের জন্য অতীব জরুরি। মহাপরিকল্পনা নিয়ে তিস্তাপারের জনগণ তো আর চীন-ভারতের কাছে হাত পাতবে না। টাকা আনতে হবে সরকারকে। তাই নিজস্ব অর্থায়নে হোক আর ধার করা টাকায় হোক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। দক্ষিণবঙ্গের মেগা প্রকল্পের ন্যায় এই তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে।
এসময় জাতীয় পার্টির রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াছিরসহ জেলা ও মহানগরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।