1. bazmedialink7@gmail.com : Baz Alam : Baz Alam
  2. mdkaif01133@gmail.com : md :
  3. talhanrcc2014@gmail.com : Talha : MD TALHA
  4. deshbidesh2022@gmail.com : Tuhin Ahmed : Tuhin Ahmed
দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশে এসে দেড় বছর কারাভোগ - DeshBideshNews
November 27, 2024, 10:40 pm
 

দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশে এসে দেড় বছর কারাভোগ

  • Update Time : Wednesday, October 12, 2022
  • 83 Time View
দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশে এসে দেড় বছর কারাভোগ

দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে অবৈধ পথে এসে ধরা পড়ে এক ভারতীয় পরিবার। প্রায় ১৮ মাস জেল খেটে অবশেষে নিজ দেশে ফেরত গেলেন তারা। সোমবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর চেকপোস্টে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

জানা যায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়া থানার হায়দার বিলিয়া গ্রামের সুমন দে। বাংলাদেশে যশোর জেলার রূপদিয়ায় মামা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন সপরিবারে। সঙ্গে ছিল স্ত্রী সুজাতা দে ও সন্তান শুভজিৎ দে। সময়টা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার ভোমরা বন্দর এলাকা দিয়ে রাজু নামের এক দালালের মাধ্যমে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাংলাদেশে আসে সুমনে দে।

সুমন দে জানান, পাসপোর্ট ছিল না। সেদিন ১৯ হাজার টাকার বিনিময়ে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয় দালাল রাজু। এরপর মামাবাড়ি যশোর জেলার রূপদিয়া পৌঁছে যাই। এক মাস ছিলাম মামার বাড়িতে। তারপর ২০২১ সালের ২২ মার্চ নিজের দেশে বাড়িতে ফিরে যাবার উদ্দেশ্যে দালাল ধরে চলে আসি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্তে। সেখানে শ্রীনাথপুর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির হাতে ধরা পড়ি। এরপর ঠাঁই হয় কারাগারে।

কাকাবাবু সুখেন্দ্র দে’র সঙ্গে দর্শনা সীমান্তে বাবা-মা-ভাইকে গ্রহণ করতে এসেছিল সুমন দে’র মেয়ে চিত্রা দে। দীর্ঘদিন পর মা-বাবা-একমাত্র ভাইকে কাছে পেয়ে আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন। কান্নায় ভেঙে পড়ে মা-মেয়ে।

সুমন দের স্ত্রী সুজাতা দে বলেন, ‘একটি ভুল জীবন থেকে প্রায় দুটি বছর ঝরে গেল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমার ছেলেটির। সে চার ক্লাসে পড়তো। তার এই ১৮ মাস জেলে কাটল। সুজাতা বলেন, বৈধ পথে পাসপোর্ট ভিসা করে বাংলাদেশে আসলে ক্ষতি হতো না। তাদের মতো ভুল যেন কেউ না করে।’ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন- দু’দেশের বিজিবি-বিএসএফ, ইমিগ্রেশন পুলিশ, থানা পুলিশ, কারা কর্মকর্তা, ডিআইবি, কাস্টমস কর্মকর্তারা। সোমবার দুপুরে দর্শনা চেকপোস্টের ৭৬ নং মেইন পিলারের কাছে শূন্য রেখায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়।

ফেরত যাওয়া ভারতীয় নাগরিকরা হলেন- ভারতের উত্তর চব্বিশপরগনা জেলার হাবড়া থানার হায়দারবেলিয়া গ্রামের মৃত রতন দের ছেলে সুমন দে, তার স্ত্রী সুজাতা দে ও শিশুপুত্র শুভজিৎ দে।

বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবির দর্শনা চেকপোস্ট ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আবু নাঈম, দর্শনা থানার এসআই শামিম রেজা ও সুজন। ঝিনাইদহ জেলার কারাগারের ডেপুটি জেলার সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন গেঁদে বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার এসি নাগেন্দ্র পাল, ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ সন্দীপ কুমার তেয়ারি, গেঁদে কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট অজয় নায়ারণ ও কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইনচার্জ বাবিন মুখার্জি।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ