দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি : তিন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এরমধ্যে একজন সড়ক দুর্ঘটনায়, বাকি দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। জোহানেসবার্গের অদূরে লেনেসিয়াতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মাসুদ রানা (৪২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মাসুদ নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী থানার আমকি গ্রামের আমকি বড় বাড়ির মৃত আবু তাহের মিয়ার ছেলে। তিনি ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসেন। ৪ বোন ও ৩ ভাইয়ের মধ্যে তিনি মেজো ছিলেন।
নিহত মাসুদ রানার ভাইয়ের শ্যালক নুরুল আলম জানান- ২৮ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টার মাসুদ রানা লানেসিয়ার লেহারি থেকে জোহানেসবার্গে যাওয়ার উদ্দেশ্যে লেনেশিয়া সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে একটি বেপরোয়া ট্যাক্সি এসে তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় বারাকোয়ানা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি ৮ দিন ধরে আইসিইউতে ছিলেন। তিনদিন আগে তাকে বেডে স্থানান্তর করার পরে ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত ৯টার সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ শহরের মার্সাল টাউনে নুর মোহাম্মদ (৫১) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
নুর মোহাম্মদের ভাতিজা জাকের হোসেন পারভেজ জানান- তিনি ২ মাস পুর্বে প্যারালাইজড হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ৮ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টায় তিনি মারা যান।
নুর মোহাম্মদ ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার গনিপুর গ্রামের সুয়া কাজী বাড়ীর উসমান গনির পুত্র। তার দেশে স্ত্রী, ২ মেয়ে ও ২ ছেলে রয়েছে। তিনি প্রায় ১৪ বছর পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসেন। শিগ্রই তার মরদেহ দেশে পাঠানোর হবে।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বারলির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল মান্নান নামে আরো এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়- আব্দুল মান্নান দীর্ঘদিন থেকে লিভারসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। কিম্বারলির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে ৯ আগস্ট ভোর ৫টার সময় তার মৃত্যু হয়েছে।
আব্দুল মান্নান সিলেট জেলার কানাইঘাটের বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বারলিতে জোহরের নামাজের পর আব্দুল মান্নানের জানাযা শেষে স্থানীয় মুসলিম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।