দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক: পাগল হাসানের তথাকথিত দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে এবার লাইভে এসে অভিযোগ জানিয়েছেন তার দুই ছেলে। গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে এসে তারা এই অভিযোগ জানান। জানা যায়, মর্জিনা নামের এক মেয়ে পাগল হাসানের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছে। এরপরে সে পাগল হাসানের সম্পত্তিসহ নানান কিছু নিজের বলে করেছে। অন্যদিকে, পাগল হাসানের ঘনিষ্টজনেরা জানিয়েছেন তারা এই ব্যাপারে কিছুই জানেন না। পাগল হাসানের এ ঘনিষ্ট সহকর্মী দেশে-বিদেশের এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, একবার শুনিছে পাগল হাসান এক মেয়ের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। যা তিনি আস্তে আস্তে পরিশোধ করে দিবে বলছিলেন। দেশ-বিদেশে পাঠকদের সুবিধার্তে পাগল হাসানের ছেলেদের লাইভে এসে অভিযোগটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
আমরা আজকে লাইভে এসেছি দেশবাসির কাছে আমাদের কিছু অভিযোগ জানানোর জন্য। আপনারা আমার বাবা পাগল হাছানকে সম্মান দিয়েছেন ভালোবাসা দিয়েছেন এজন্য আমরা দুই ভাই আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আজকে আমাদের বেশ কিছু কথা দেশবাসিকে জানানো দরকার। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমাদের পরিবারে অনেক কিছু হয়েছে। ভেবে ছিলাম ঘরের কথা বাহিরে জানাবো না কারন এর জন্য আমার বাবা পাগল হাসানের সম্মানে আঘাত হানতে হতে পারে। শেষ পর্যন্ত আর না বলে পারলাম না।
আমার বাবা মারা যাওয়ার পর অনেকেই আমাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন। যা আমরা এখনো পাইনাই বা যার কোনো সঠিক হিসেবও আমাদের দেওয়া হয়নাই। আমার বাবার ব্যবহার করা ল্যাপটপ, আইফেডসহ আরো তিনটা আইফোন আমার দ্বিতীয় মা মর্জিনা রানি আমার ফুফুদের মাধ্যমে সব কিছু নিয়ে ইংল্যন্ডে চলে যেতে চায়। এখানে তাকে সাহায্য করছে আমার তিন ফুফু ও দুই ফুফুর জামাই এবং আমার দাদু। তারা সকলে মিলে মর্জিনা রানিকে আমার বাবার রেখে যাওয়া শেষ সৃতিটুকুও নিয়ে যেতে সাহায্য করছে।
আমার একটাই অনুরোধ আপনাদের কাছে, এলাকার কারো সাথে আমার দাদু এবং ছোটমা মর্জিনা রানির দেখা হলে তাদেরকে আটকিয়ে জিজ্ঞেস করবেন। আমার ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে কথা বলেছি তারা আমাদের সহযোগিতার করবে বলে জানিয়েছে।
পগল হাসানের ছেলে আরও বলেন, টেলিফোনে দাদুর সাথে কথা হলে সেখানে আমার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করা মর্জিনার রানির সাথে কথা হয়, সে আমাদের নানাভাবে হুমকি দেন এবং পরবর্তীতে দেখে নিবেন বলেও জানান। সে আরো বলে, আমার বাবা বেচে থাকতে নাকি তার টাকায় চলাফেরা করতো এবং আমার বাবার সব সম্পত্তি তার নিজের বলেও দাবি করেন। যদিও আমার এখনো এর সত্যতা জানি না আসলেই তিনি আমার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী কিনা, এবং তিনিও এর কোনো প্রমানও এখনো দেখাতে পারেনি।
আমার বাবা বেচে থাকতে মর্জিনা রানি কখনই আমাদের সামনে আসেনি, আমার মায়ের সাথে কথা বলেনি। সে আমাদের পরিবারের কারোর সাথেই এসে বলেনি তিনি আমার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী। সে বারবার বলে আমার বাবার ব্যবহার করা আইফোন, ল্যাপটপসহ বাবার ব্যবহার করা সব শার্ট পেন্ট এগুলো যা আছে সব নাকি সে দিয়েছে। যদিও এগুলোর সবই মিথ্যা।