মোঃ ফয়জুল আলী শাহ : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন গুলো মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধে শাস্তি, জেল ও ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার আইন রোধ করার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।
আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন নূর ইসলাম বলেন- ২০০৫ সালে প্রেস কাউন্সিল প্রস্তাবিত আইন যা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সর্বসাধারণের মতামতের জন্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি তথ্য সচিবের সভাপতিত্বে তথ্য মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত করা হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালের ২০ জুন মন্ত্রী পরিষদ বৈঠকে নীতিগত ভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
তিনি বলেন- বর্তমানে আইনটি সরকারের কাছে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমাদের প্রস্তাবনা- এই আইনে সাংবাদিকদের ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ও জেল প্রদানের বিষয় রাখা হয়েছে। এই আইন আরও যাচাই বাছাই করার জন্য সময় না নিয়ে, তড়িগড়ি করে পাস না করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা, পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে মুক্ত গণমাধ্যমের বৈশ্বিক দাবি বাস্তবায়নে সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার করতে হবে এবং বর্তমানে যে মামলাগুলো হয়েছে তা প্রেস কাউন্সিলে হস্তান্তর করতে হবে এবং প্রেস কাউন্সিলের অনুমতি ছাড়া কোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা যাবে না।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মহাসচিব মোঃ ফারুক হোসেন বলেন- সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তায় প্রেস কাউন্সিল আইন যুগোপযোগী ও শক্তিশালী করে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করে সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে প্রেস কাউন্সিলের অধীনে নিবন্ধন করতে হবে। একটি উপজেলায় একটি সংগঠনের মাধ্যমে সব সাংবাদিকের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। একটি মাত্র কেন্দ্রীয় সংগঠনের মাধ্যমেই এর বাস্তবায়নে আইন প্রণয়ন করতে হবে এবং কল্যাণ ট্রাস্টের কালো আইন বাতিল করে দেশের সব সাংবাদিককে এর সদস্য করে সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।
উক্ত মানববন্ধনে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাসেল সরকার বলেন- সাংবাদিকদের সম্মান ও বেতন দিতে না পারলে শিক্ষিত ও মেধাবীরা এই পেশায় আসবে না জানিয়ে তিনি বলেন- সংবাদপত্র কারও দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হোক এটা চাই না। বাংলাদেশের সংবিধানে সাংবাদিকদের যে অধিকারের কথা বলা আছে, সেই অধিকার আদায়ে সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন- বাংলাদেশের গণমাধ্যমের দিকে তাকালে আজ আমরা বুঝতে পারি সাংবাদিকরাই সাংবাদিকদের প্রধান শত্রু। যদি কেউ সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে মুক্তভাবে সাংবাদিকতা করা সম্ভব না।
মানববন্ধনে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি এস এম মোর্শেদসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।