নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা’র বিভিন্ন অলিগলিতে বাসা ভাড়া নিয়ে জাল টাকা তৈরি করা অনেক সহজ। তাই জাল টাকার কারবারিরা রাজধানীকে নিরাপদ মনে করে। তবে জাল টাকা রাজধানীতে বসে তৈরি করলেও এর বাজারজাত করা হয় সীমান্ত এলাকা এবং সীমান্ত এলাকার বাজারগুলোতে। গ্রেফতারকৃত জাল টাকা তৈরির হোতারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমনই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
সম্প্রতি রাজধানীর লালবাগের বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে দলনেতা তাইজুল ইসলাম লিটনসহ চার জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। অন্য তিন জন হলো জাহাঙ্গীর আলম, আলী হায়দার ও মহসিন ইসলাম মিয়া। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে লিটনের বাড়ি চাঁদপুরে। জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি নওগাঁ এবং আলী হায়দার ও মহসিন মিয়ার বাড়ি বরিশালে।
গোয়েন্দা পুলিশ তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় তারা জানিয়েছে জাল টাকা তৈরির বিস্তারিত। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট। জাল রুপিও উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া জাল টাকা ও রুপি তৈরি করার জন্য ব্যবহূত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, বিভিন্ন কালারের কালি, স্ক্রিন ফ্রেইম, বিশেষ ধরনের কাগজ, কেমিক্যাল, স্ক্যানার মেশিন, কাটার, স্কেল ইত্যাদি জব্দ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার মশিউর রহমান।