নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূল গোছানোর কাজে জোর দিয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে নেমেছেন আট বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের নেতারা। সারা দেশে শুরু হয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা ও পৌর কমিটির সম্মেলনের কাজ। এসব সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে নবীন-প্রবীণের সমন্বয় করতে চাইছে আওয়ামী লীগ। ত্যাগী ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির পুরোনোদের ফের দেওয়া হচ্ছে বড় দায়িত্ব। পাশাপাশি বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে জনপ্রিয় ও গণমুখী তরুণ নেতাদের নিয়ে আসা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পদে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন- ভোটের আগে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো সম্মেলনের মাধ্যমে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন তারা। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব কমিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ এবং দলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে মনোযোগী আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন- ১০ দিনে অন্তত ২০ জেলা উপজেলার সম্মেলন হয়েছে। আবার জেলা-উপজেলার সম্মেলনের তারিখও চূড়ান্ত করা হচ্ছে। আশা করছি-আগস্টের আগেই অধিকাংশ (প্রায় সব) জেলা উপজেলার সম্মেলন শেষ করতে পারবো।
যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন- নেত্রীর (আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী তিন মাসের মধ্যে তৃণমূল সম্মেলন শেষ করে আমরা সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চাই। আমরা চাই তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে। শুধু নামকাওয়াস্তে সম্মেলন করতে চাই না। জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে প্রকৃত অর্থেই একেবারে তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠনকে আরও বেশি শক্তিশালী ও গণমুখী করতে চাই।
জানা গেছে- সারা দেশে আওয়ামী লীগের ৭৮ সাংগঠনিক জেলা এবং সাড়ে ছয়শর মতো উপজেলা কমিটি রয়েছে। এর মধ্যে এখনো ৪০টির মতো জেলা ও চার শতাধিক উপজেলা কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন- মে মাসের মধ্যে আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের (খুলনা) জেলা উপজেলাগুলোর সম্মেলন শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। ৩১ মার্চের মধ্যে ১২টি উপজেলার সম্মেলন শেষ করা হবে। এছাড়া ১২ মে মাগুড়া, ১৪ মে মেহেরপুর, ১৫ মে চুয়াডাঙ্গা এবং ১৬ মে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন- জেলা উপজেলা কমিটিতে তৃণমূলের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদেরই জায়গা দেওয়া হয়েছে। কোনো বিতর্কিত, সুবিধাবাদী বা হাইব্রিড নেতাকে জেলা বা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রাখা হয়নি। দুঃসময়েও যাদের রাজনীতির ধারাবাহিকতায় বিচ্যুতি ঘটেনি, সেইসব ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের শীর্ষ পদে রাখা হয়েছে। আমরা চেয়েছি তৃণমূলের এসব সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী হিসাবে গড়ে তুলতে।