1. bazmedialink7@gmail.com : Baz Alam : Baz Alam
  2. mdkaif01133@gmail.com : md :
  3. talhanrcc2014@gmail.com : Talha : MD TALHA
  4. deshbidesh2022@gmail.com : Tuhin Ahmed : Tuhin Ahmed
জাতীয় শোক দিবস আজ - DeshBideshNews
November 26, 2024, 6:48 pm
 

জাতীয় শোক দিবস আজ

  • Update Time : Monday, August 15, 2022
  • 296 Time View
জাতীয় শোক দিবস আজ

দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বাঙালি জাতির শোকের দিন আজ। আজ ইতিহাসের এক কলঙ্কময় দিনও। ১৯৭৫ সালে আজকের দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। যাঁর অসীম সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে, সেই মানুষটি ও তাঁর পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করে একদল বিপথগামী সেনা সদস্য। ১৫ই আগস্ট কালরাতে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়িটিতে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায় খুনিরা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশ নামে নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রটির বহু সম্ভাবনার অকালমৃত্যু ঘটায় তারা। একই সঙ্গে এই দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীত ধারায় নিয়ে যায়। যে ক্ষত এখনো বইছে দেশ।

নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন জাতির পিতাকে হত্যার দিনটিতে তাঁকে যথাযথ মর্যাদায় স্মরণ করবে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো বাঙালি তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে না। সে জন্য তিনি গণভবনের পরিবর্তে থাকতেন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসভবনে। এখানে থেকেই তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে সর্বশক্তি নিয়ে ব্রতী ছিলেন। ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকদের বুলেটের মুখেও বঙ্গবন্ধু ছিলেন অকুতোভয়। প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তোরা কী চাস? কোথায় নিয়ে যাবি আমাকে?’

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ সি চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমদ বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন। পরে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটিকে আইন হিসেবে অনুমোদন দেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গের হত্যাকারী পাঁচ আত্মস্বীকৃত খুনির ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর হয়।

আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এসে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে। তবে ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে আবার রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২২ সালের শোক দিবসকে সামনে রেখে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ (১৫ আগস্ট) সরকারি ছুটি। জাতীয় পতাকা থাকবে অর্ধনমিত। সরকারি ও বেসরকারি ভবনে উড়বে কালো পতাকা। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পৃথক পৃথক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ ছাড়া, সারাদেশে দলটির নেতাকর্মীদের উদ্যোগে এতিম ও দুস্থ মানুষদের মাঝে খাদ্য বিতরণ ও গণভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদায় এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে স্বাস্থ্য-সুরক্ষা বিধি মেনে পালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দিবসটিতে দেশের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিন সকাল সাড়ে ছয়টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধা জানানো হবে। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বয় করে তা জানানো হবে। সকাল আটটায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। দুপুর ১২ টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার ভোরে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। শ্রদ্ধা জানানো শেষে প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন। সকাল ১০টায় প্রথমে তিনি সরকারের পক্ষে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে দলীয় নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ