দেশ বিদেশ ডেস্ক : জ্বালানি নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস’ পালন করছে আজ। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বহুমুখী জ্বালানি, সমৃদ্ধ আগামী’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, জ্বালানির গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট ব্রিটিশ কোম্পানি ‘শেল ওয়েল’ এর ৫টি গ্যাসক্ষেত্রের মালিকানা রাষ্ট্রের অনুকূলে গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যা অদ্যাবধি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশে জ্বালানির অন্যতম উৎস হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। দেশের গ্যাসক্ষেত্রের অধিকাংশই স্থলভাগে অবস্থিত। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ বৃদ্ধির জন্য স্থলভাগের পাশাপাশি দেশের বিশাল সমুদ্রসীমায় অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার এবং উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ কার্যক্রম আরো ত্বরান্বিত করতে হবে।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার ‘রূপকল্প-২০৪১’ অর্জনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে জ্বালানি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের সময়ে সুন্দলপুর, শ্রীকাইল, রূপগঞ্জ, ভোলা নর্থ ও জকিগঞ্জ নামে মোট ৫টি নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। আরো নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের জন্য বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার লাইন কিলোমিটার ২-ডি সিইসমিক জরিপ এবং ১ হাজার ৫৩৬ বর্গকিলোমিটার ৩-ডি সিইসমিক জরিপ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জ্বালানি খাতকে আধুনিক ও ডিজিটালাইজড করার জন্য এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং প্রবর্তন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্যাস ও কয়লার উৎপাদন বৃদ্ধিতে সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে, দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জ্বালানি চাহিদা পূরণে গ্যাস উত্তোলন, প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ কয়লার মজুদ নির্ধারণ, আহরিত জ্বালানি সম্পদ ব্যবহারের নতুন ক্ষেত্র প্রস্তুত এবং এ সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়নে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন অব্যাহত রয়েছে।