দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার রাতে দেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হেনে বাংলাদেশ অথিক্রম করেছে। দেশের ১৩ জেলায় এই ঝড় মারাত্মকভাবে আঘাত হানে। এর বাইরে আরো দুটি জেলায় হালকাভাবে আঘাত হানে সিত্রাং। সব থেকে বেশি আঘাত হেনেছে বরগুনা ও পটুয়াখালীতে। অধিদপ্তরের পরিচালক বজলুর রশীদ জানান, ঘূর্ণিঝড়টি মধ্যরাতে বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানলেও এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু ছিলো না। কারণ ঝড়ের গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ ৯৯ থেকে ১০০ কিলোমিটার। তবে মানুষকে সতর্কাবস্থায় থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।
ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি এড়াতে উপকূলীয় জেলাগুলোতে কয়েক লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে টানা বৃষ্টি ও বাতাসে গাছ পড়ে গতকাল দুই জেলায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে ২০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। ওই সব ট্রলারের জেলেদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
বিরূপ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কক্সবাজার ও বরিশাল বিমানবন্দরে উড্ডয়ন-অবতরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে গত রবিবার রাত থেকে উপকূলীয় এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এতে মোবাইল ফোন কম্পানিগুলোর কয়েক হাজার টাওয়ার বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে অনেকে যোগাযোগ করতে পারছে না।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।