দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং অতিক্রমের পর ক্রমেই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে উপকূলের জনজীবন। মঙ্গলবার সকাল থেকে অনেকেই ফিরে গেছেন নিজের ঘরে। আবার অনেকেরই ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় রয়ে গেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন অনেক মানুষ। সরকারি হিসাবে জেলার ৩৪৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিলেন ৭৩ হাজার ২০০ মানুষ।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলার প্রায় সব এলাকার আবহাওয়া রোদ্রউজ্জল হতে শুরু করে। স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। তবে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভারী বর্ষণ ও ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বসতবাড়িও।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ফলে সব সমুদ্রবন্দর থেকে বিপৎসংকেত নামানো হয়েছে। এর পরিবর্তে এখন ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।