দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ আজ শনিবার দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১১টার দিকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন বিএনপি খুলনা মহানগর শাখার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা।
অপরদিকে, খুলনা শহরে ঢোকার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। খুলনার প্রবেশপথগুলোতে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করছেন তারা। যারাই প্রবেশ করছেন তাদেরকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাদ যাননি সাংবাদিকরাও। তাদের বহনকারী গাড়ি আটকিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খুলনায় প্রবেশের বিভিন্ন পয়েন্টে বিশাল শোডাউনও করেছেন। ফুলতলা, মানিকতলা দৌলতপুর এবং খুলনা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনেসহ অন্তত ১০টি জায়গার মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। দুপুর ১টার দিকেও তাদের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। যাত্রী নিয়ে ভ্যান, প্রাইভেট কার বা অন্য কোনো যানবাহন খুলনায় প্রবেশের সময় থামানো হচ্ছে। যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ সময় অনেককে খুলনায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জানা গেছে, সমাবেশ উপলক্ষে মঞ্চ থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে টাঙানো হয়েছে ১২০টি মাইক। আটটি পয়েন্টে বসানো হয়েছে প্রজেক্টর। বেলা ১১টার দিকে নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে বিএনপির সমাবেশ এলাকায় দেখা যায়, তিল ধারণের জায়গা নেই। সমাবেশের সামনে স্থান না পেয়ে নেতাকর্মীরা আশপাশের সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। আবার তীব্র রোদের কারণে অনেকে সড়কের পাশে ছায়ায় জড়ো হয়েছেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। থাকবে ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারি। এছাড়া শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করছে ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক।