দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল করে হাইকোর্টের দেয়া রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে শুনানি শেষে এ রায় দেন আদালত। চার সপ্তাহ পর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে বলেও এসময় জানান আদালত।
এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে ক্লাসে ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, যারা আন্দোলন করছে তাদের মনেও ক্ষোভ আছে। তবে তারা যেটা করছে সেটা অ্যাপরিসিয়েট করার মতো না। রাস্তায় আন্দোলন করে রায় পরিবর্তন করা যায় না। আমরাও তো মানুষ, বিভিন্ন দিকে কথা বার্তা হচ্ছে, কিন্তু বিষয়টা সলভ করতে হবে।
এর আগে মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। শুধু এই মামলার শুনানির দিন ধার্যের জন্য চেম্বার বিচারপতির আদালত বসেছিলেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীও হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানিও একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেড (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হয়। নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, উপজাতি পাঁচ ও প্রতিবন্ধীদের এক শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়।
এই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ বাতিল চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে। গত ৫ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট। রায়ে সরকারের পরিপত্র বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ কোটা বহাল রাখার আদেশ দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রপক্ষ’ আবেদন করলে ৪ জুলাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে নিয়মিত আপিল করতে বলেন।